অসমকে দেশের প্ৰথম সারির রাজ্যে উন্নীত করতে সচেষ্ট সরকারঃ সোনোয়াল

গুয়াহাটিঃ মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেছেন,অসম আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল অবৈধ অনুপ্ৰবেশের কবল থেকে অসমকে মুক্ত করা। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে চলা ওই আন্দোলনে রাজ্যের বিভিন্ন জাতপাত,ভাষা,ধর্ম নির্বিশেষে সকাল স্তরের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ওই আন্দোলনে বহু মানুষকে প্ৰাণ হারাতে হয়েছে। অনেকে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন। অসমকে দেশের একটা প্ৰথম সারির রাজ্যে উন্নীত করতে বর্তমান সরকার গত ২ বছর ১০ মাস ধরে লাগাতার খেটে চলেছে। অসম চুক্তির সব শর্ত রূপায়ণে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,আন্দোলনের সময় গুলিতে আহতদের প্ৰত্যেককে দুলক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
অসম আন্দোলনে আহত হওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের প্ৰতি সম্মান জানাতে বৃহস্পতিবার অসম চুক্তি রূপায়ণ বিভাগের তরফে গুয়াহাটির মণিরাম দেওয়ান ট্ৰেড সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্ৰী। সোনোয়াল বলেন,রাজ্যের উন্নয়ন ক্ষিপ্ৰতর করতে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্ৰীয় সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন,অসম চুক্তির একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ব শর্ত হচ্ছে সীমান্ত সম্পূর্ণ সিল করা। সীমান্ত সিল করার জন্য পূর্বতন কংগ্ৰেস সরকার পাকাপোক্ত কোনও ব্যবস্থাই গ্ৰহণ করেনি। জমির সীমানা নির্ধারণ না করে সীমান্ত পুরোপুরি সিল করা সম্ভব নয় অনুধাবন করতে পেরে কেন্দ্ৰীয় সরকার ২০১৪ সালে জমির সীমা নির্ধারণে একটি চুক্তি করে এবং এরপরই ভারত-বাংলাদেশের ২৭২ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা সম্পূর্ণ সিল করার পদক্ষেপ নেয়। তিনি বলেন,সীমান্তের নদী অববাহিকার ৬১ কিলোমিটার এলাকা সিল করতে কেন্দ্ৰ প্ৰযুক্তির সাহায্য নিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,পূর্বের কংগ্ৰেস সরকার অসম চুক্তির পাঁচ নম্বর দফা রূপায়ণেও কোনও ঠোস পদক্ষেপ নেয়নি। তবে রাজ্যে সুপ্ৰিমকোর্টের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)নবায়নে কেন্দ্ৰীয় সরকার সম্ভাব্য সবরকমের সাহা্য্য করছে-উল্লেখ্য করেন সোনোয়াল।