অসমে এনআরসি নবায়নের কাজ গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে

গুয়াহাটিঃ জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নবায়নে(এনআরসি)নাম ছুটদের দাবি ও ওজর আপত্তি জানানোর জন্য রাজ্যের সব সেবাকেন্দ্ৰে প্ৰপত্ৰ বিলির গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। প্ৰপত্ৰ সংগ্ৰহের জন্য বিভিন্ন সেবাকেন্দ্ৰে নাম ছুটদের সারি দিতে দেখা গেছে। এনআরসি কর্তৃপক্ষের তরফে এর আগে ইস্যু করা আপত্তি সংক্ৰান্ত নমুনা প্ৰপত্ৰে জরিমানা ও হাজতবাসের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল যদিও কিন্তু সোমবার বিলি করা প্ৰপত্ৰে এই দুটো ব্যবস্থার কোনও উল্লেখ নেই। কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের প্ৰস্তুত করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্ৰসিডিউর(এসওপি)নিয়ে সুপ্ৰিমকোর্টের রায় ঝুলে থাকার জন্যই সম্ভবত এটা করা হয়েছে। দাবি ও ওজর আপত্তির পর্ব যাতে অবাধ,মুক্ত ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা যায় তার জন্য প্ৰস্তুত করা হয়েছে এসওপি।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকত্ব(নাগরিকত্বের পঞ্জিয়ন এবং ২০০৩ সালের ন্যাশনাল আইডেনটিটি কার্ডসের রুলস)অনু্যায়ী এনআরসি নবায়নের কাজ চলছে। সেইহেতু এনআরসি-র সম্পূর্ণ খসড়ায় কোনও ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্তির যোগ্যতার বিরুদ্ধে আপত্তি জানানো অন্য কোনও ব্যক্তি যদি তার দাবির স্বপক্ষে উপযুক্ত প্ৰমাণ দিতে ব্যর্থ হন তাহলে সেই ব্যক্তিকে ৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ব্যবস্থা অনুযায়ী শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তবে সম্প্ৰতি এই ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এমন কি রাজ্য মন্ত্ৰিসভা এসওপি থেকে জরিমানা ও জেলের ব্যবস্থাটি উঠিয়ে নিতে কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের কাছে প্ৰস্তাব রেখেছে। সেই অনুযায়ী স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক সুপ্ৰিমকোর্টে দাখিল করা এসওপিতে অসম সরকারের সুপারিশটি অন্তর্ভুক্ত করেছে। সুপ্ৰিমকোর্ট এনআরসি নিয়ে সব দাবিদারদের মতামত যাচাই করে কেন্দ্ৰের দাখিল করা এসওপি সম্পর্কে ২৮ আগস্ট তাদের রায় দেবে। এদিকে নাম সংশোধন ও অন্যান্য বিষয়ের জন্য ফর্ম শীঘ্ৰই দেওয়া হবে।