আজ কিংবদন্তি শিল্পী ভূপেন হাজরিকার সমাধি ক্ষেত্ৰ আবার প্ৰাণ পেয়ে উঠছে

গুয়াহাটিঃ কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী সুধাকণ্ঠ ড.ভূপেন হাজরিকার জীবন ও কর্মরাজি সোমবার তাঁর সমাধি ক্ষেত্ৰে প্ৰাণ পেয়ে উঠবে। সাত বছর আগে মহানগরীর জালুকবাড়ির এই স্থানেই বরেণ্য এই শিল্পীর অন্ত্যেষ্টি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল সোমবার ভূপেন হাজরিকার সমাধিক্ষেত্ৰে একটি মিউজিয়ামের উদ্বোধন করবেন। এই মিউজিয়ামে থাকবে শিল্পীর বিভিন্ন ছবি ও কর্মরাজি। ত্ৰিতল এই মিউজিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে ‘সোনওয়ালি সোঁওরনি’(সোনালি স্মৃতি)। সুধাকণ্ঠের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে এই মিউজিয়ামটি অসমের মানুষের জন্য উৎসর্গ করবেন মুখ্যমন্ত্ৰী।
ভূপেন হাজরিকার জামা কাপড়,জুতো এবং যে টুপি তাঁর মাথায় শোভা পেতো সেগুলি মিউজিয়ামের অলংকার হবে। শিল্পীর ভ্ৰাতৃবধূ মণীষা হাজরিকা সুধাকণ্ঠের দুটো কুর্তা,একটি পায়জামা,একটি লুঙি এবং তাঁর মাথার টুপি মিউজিয়ামের জন্য দান করেছেন। অসম সরকার মিউজিয়াম নির্মাণে প্ৰায় ১৪ কোটি টাকা দিয়েছে। তাছাড়া মিউজিয়ামের অভ্যন্তরের সৌন্দর্য বাড়াতে দিয়েছে ৩৭৭.৬০ লক্ষ টাকা। ‘এই মিউজিয়ামই হচ্ছে বরেণ্য শিল্পীর প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জানানোর উত্তম ও প্ৰকৃত নিদর্শন। সংগীত শিল্পীর জীবন ও কাজ অসমের মানুষের হৃদয়,মনে যে চির অম্লান রয়েছে মিউজিয়াম হচ্ছে তারই প্ৰতীক। এই মিউজিয়াম দর্শনে এলেই প্ৰত্যেকের মনে জেগে উঠবে শিল্পীর অবিনশ্বর কর্মরাজি’-রাজ্যের সংস্কৃতি বিভাগের এক আধিকারিক একথা বলেন।
ওদিকে অসম সরকার কলকাতায় থাকা ভূপেন হাজরিকার বাড়িটি কিনছে। মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়ালের নির্দেশেই সংস্কৃতি বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্ৰী নব কুমার দোলে ও মুখ্যমন্ত্ৰীর প্ৰেস উপদেষ্টা ঋষিকেশ গোস্বামী গত বছর কলকাতার টালিগঞ্জে ৭৭ গলফ ক্লাব রোডে থাকা হাজরিকার বাড়িটি দেখে এসেছেন। রাজ্য সরকার ওই বাড়ির পূর্বতন মালিক সুশীল কে ডাঙ্গির কাছ থেকে ১.৬৬ কোটি টাকায় বাড়িটি কিনে নিয়েছে। ১৯৫০ সাল থেকে এই বাড়িতে বসেই হাজরিকা তাঁর জীবনের অনেক কালজয়ী গান লেখা ছাড়া সুরও দিয়েছেন। বাড়িটি মেরামতির জন্য রাজ্য সরকার ২৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। রাজ্যের পূর্ত বিভাগ একাজ করবে। সুশীল কে ডাঙ্গির কাছ থেকে কলকাতার বাড়িটি কেনা নিয়ে নথিপত্ৰ প্ৰস্তুতির কাজও এগিয়ে চলেছে।