আদিবাসী মহাসভার ডাকা অসম বনধে মিশ্ৰ সাড়া

কোকরাঝাড়ঃ অসমের আদিবাসীদের তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে আদিবাসী মহাসভার শুক্ৰবার ডাকা ১২ ঘণ্টা অসম বনধ শান্তিপূর্ণভাবেই সমাপ্ত হয়। এদিন বনধে কোকরাঝাড় জেলায় মিশ্ৰ সাড়া পাওয়া গেছে। কোকরাঝাড় শহরে বনধের তেমন প্ৰভাব পড়েনি। তবে দূরপাল্লার বাস পথে নামেনি এদিন। কোকরাঝাড় শহরে সরকারি কার্যালয়,হাটবাজার,ব্যাংক,দোকানপাট ও শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানে কাজকর্ম স্বাভাবিকই ছিল। ওদিকে কোকরাঝাড় থানার অধীন আমগুড়ি এলাকায় পিকেটারদের ছত্ৰভঙ্গ করতে পুলিশকে কয়েক রাউন্ড শূন্যে গুলি চালাতে হয়। তবে জেলার কোনও প্ৰান্ত থেকে অপ্ৰীতিকর ঘটনার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে বঙাইগাঁওয়ের আদিবাসী জাতীয় মহাসভার ডাকা ১২ ঘণ্টা অসম বনধে বঙাইগাঁওয়ে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়। বনধ চলাকালে বাণিজ্যিক কোনও যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। ডিব্ৰুগড়ে বনধে স্বাভাবিক জীবন পঙ্গু হয়ে পড়ে। তবে এই শহরে কিছু বেসরকারি গাড়ি এদিন চলাচল করতে দেখা গেছে। ব্যবসা ও আর্থিক প্ৰতিষ্ঠানগুলি বন্ধই ছিল। জেলার অন্যান্য স্থানে বিশেষ করে নাহরকটিয়া,চাবুয়া,নামরূপ ও দুলিয়াজানে বনধে সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে পড়ে জনজীবন। ছয় জনগোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দিতে বর্তমানে যে রাজনীতি চলছে তারই প্ৰতিবাদে এই বনধ ডেকেছিল আদিবাসী মহাসভা। আদিবাসী ছাত্ৰ সংস্থার নাহরকটিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিতেন ওরাং বলেন,‘আমরা দীর্ঘদিন থেকে তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দাবি করে আসছি। আমরা এ বিষয়টি যখনই উত্থাপন করতে চেয়েছি তখনই বিটিসি কর্তৃপক্ষ আমাদের অধিকার অস্বীকার করার চেষ্টা করে এসেছে। তাই বিটিসি কর্তৃপক্ষকে আমাদের অধিকার সম্পর্কে সতর্ক করতে বনধ ডাকা ছাড়া আর কোনও বিকল্প পথ ছিল না’-বলেন তিনি।