Begin typing your search above and press return to search.

উচ্চস্তরীয় কমিটির সুপারিশ সংবিধানের ৩৭১ ধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে কেন্দ্ৰ সম্মতঃ হিমন্ত

উচ্চস্তরীয় কমিটির সুপারিশ সংবিধানের ৩৭১ ধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে কেন্দ্ৰ সম্মতঃ হিমন্ত

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  7 Jan 2019 1:07 PM GMT

গুয়াহাটিঃ অসম চুক্তির ছয় নম্বর দফা রূপায়ণে গঠিত উচ্চস্তরীয় কমিটির যে সুপারিশ পেশ করবে কেন্দ্ৰীয় সরকার নীতিগতভাবে তা কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে। রাজ্যের অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা রবিবার একথা বলেন। তিনি বলেন,উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি যে সুপারিশ করবে তা যাতে ভারতের সংবিধানের আর্টিকল ৩৭১-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয় রাজ্য সরকার সেটাই চায়। আর্টিকল ৩৭১-এ বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্ৰে বিশেষ ব্যবস্থার উল্লেখ রয়েছে। সংবিধানের ৩৭১ ধারার অধীনে যেকোনও রাজ্যের ক্ষেত্ৰে একবার এই বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকরী হলে তা নিয়ে আইনের আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো যাবে না। উচ্চস্তরীয় কমিটি যদি সেটা চায় তাহলে ভারত সরকারেরও এতে সায় রয়েছে-উল্লেখ করেন শর্মা।

‘অসম চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ইতিপূর্বে গঠিত সব কমিটি থেকে বর্তমানে গঠিত এই উচ্চস্তরীয় কমিটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰিসভার সিদ্ধান্তেই নয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া চুক্তির এই দফা কার্যকর করতে নীতিগতভাবে কেন্দ্ৰ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যায় গুয়াহাটি সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে শর্মা বলেন,উচ্চপর্যায়ের কমিটি যে সুপারিশ দেবে তার সক্ৰিয় রূপায়ণে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন,মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও তাঁর সঙ্গে সম্প্ৰতি প্ৰধানমন্ত্ৰীর যে বৈঠক হয়েছে,তাতে সংবিধানের ৩৭১ ধারার অধীনে কমিটির সুপারিশগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে মোদি নীতিগতভাবে সম্মতি প্ৰকাশ করেছেন। ‘কমিটি এখন কী পরামর্শ রাখবে তার জন্য আমাদের প্ৰতীক্ষা ও লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে অসমের ভূমিপুত্ৰদের সাংবিধানিক রক্ষাকবচ সুনিশ্চিত করতে এটাকে কেন্দ্ৰের একটা ঐতিহাসিক ও বিরাট পদক্ষেপই বলা যেতে পারে-উল্লেখ করেন হিমন্ত। তিনি বলেন,অসম চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর থেকে কেন্দ্ৰ কখনোই এধরনের কমিটি গঠন করেনি। এই কমিটির পরামর্শ অসমিয়া মানুষের অস্তিত্ব,সংস্কৃতি,ভাষা এবং ভাবাবেগের সুরক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন হিমন্তবিশ্ব। তিনি বলেন কমিটি তাদের প্ৰতিবেদন পেশ করার আগে রাজ্য সরকার অসমিয়াদের সংজ্ঞা নিয়ে আরও যথাযথভাবে আলোচনা করতে পারবে। অসমিয়াদের সংজ্ঞা নির্ধারণ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে কেন্দ্ৰ-রাজ্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও বিতর্কের ব্যবস্থা করা যাবে। অসমিয়ার সংজ্ঞা নিয়ে বিধানসভার প্ৰাক্তন অধ্যক্ষ প্ৰণব গগৈ যে সুপারিশ রেখেছেন বর্তমানে সরকার তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

৫৩টি বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে শলা পরামর্শের পর বিধানসভার প্ৰাক্তন অধ্যক্ষ প্ৰণব গগৈ জাতীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)নবায়নে ১৯৫১ সালকে ভিত্তি বছর করার সুপারিশ করেছিলেন।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম