এনআরসি ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলেছে ভারত

নয়াদিল্লিঃ অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নবায়ন ইস্যু নিয়ে পড়শি বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলেছে ভারত। এব্যাপারে বাংলাদেশের মতামত হচ্ছে এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। একজন বরিষ্ঠ সরকারি কর্তা বৃহস্পতিবার এখানে একথা বলেন।
‘এনআরসি নবায়ন প্ৰক্ৰিয়ার আগে ও খসড়া প্ৰকাশের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি’-বিদেশ মন্ত্ৰকের মুখপাত্ৰ রবেশ কুমার সাংবাদিকদের বলেন একথা।
‘এনআরসির প্ৰতিটি পয়েণ্ট নিয়ে আমরা বারবার বাংলাদেশ সরকারকে আশ্বস্ত করে আসছি যে সুপ্ৰিমকোর্টের নির্দেশেই এপর্যন্ত এনআরসি-র একটা খসড়া তৈরি করা হয়েছে। অসমে নাগরিকদের চিহ্নিত করার কাজ এখনও বাকি আছে’-বলেন কুমার। ‘বাংলাদেশ চলতি প্ৰক্ৰিয়াটিকে ভারতের ঘরোয়া বিষয় বলে মনে করছে। তাই বিষয়টি ভারত বাংলাদেশের মধুর সম্পর্কে কোনও প্ৰভাব ফেলার আশঙ্কা আমরা করছি না’।
উল্লেখ্য,গত মাসে প্ৰকাশিত এনআরসি-র সম্পূর্ণ খসড়া থেকে ৪০ লক্ষাধিক লোকের নাম বাদ পড়েছে। এনআরসি প্ৰক্ৰিয়া বাংলাদেশের ওপর কোনও প্ৰভাব ফেলবে না বলে ভারতের তরফে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে কিছু মহলে প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্ৰচার মাধ্যমের রিপোর্টে অনুযায়ী স্বরাষ্ট্ৰ প্ৰতিমন্ত্ৰী কিরেন রিজিজু ও বিদেশ প্ৰতিমন্ত্ৰী এম জে আকবর ভারত সফরে আসা বাংলাদেশের নেতাকে এমন আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশ শাসক দলের শরিক তারিকাত ফেডারেশনের নেতা আলহাজ সৈয়দ নাজি বলেছেন,প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন,কাউকে বাংলাদেশে বহিষ্কার করা হবে না।
এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে অসমের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তথা অগপ নেতা প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত যিনি অবৈধ অনুপ্ৰবেশের বিরুদ্ধে অসম আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিষয়টি খারিজ করে দিয়ে বলেন,বাংলাদেশি সমস্যা কি করে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হতে পারে। এবিষয়ে বাংলাদেশের উৎকণ্ঠার কারণ নেই এই বিষয়টি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না-বলেন তিনি।
‘পূর্বের সব সরকারই ৭১এর ২৪ মার্চের পর অসমে আসা সব বাংলাদেশিকে বহিষ্কারের বিষয়টিতৈ সম্মতি দিয়েছিল’-বুধবার এখানে সাংবাদিকদের একথা বলেন মহন্ত। তিনি বলেন,বিদেশি চিহ্নিতকরণে এনআরসিই হচ্ছে প্ৰথম পদক্ষেপ।