হায়দরাবাদঃ ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী ওমর আব্দুল্লা কাশ্মীরের জন্য আলদা প্ৰধানমন্ত্ৰী দাবি করে যে বিবৃতি দিয়েছেন,প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি সেটাকে একটা ভয়ঙ্কর ইস্যু বলে অভিহিত করেন। এখানে এক নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,কংগ্ৰেসের শরিক দল হয়েও ন্যাশনাল কনফারেন্স কী ভাবে এমন একটা উদ্ভত বিষয় উত্থাপন করলো? এর জবাবদিহি করতে হবে কংগ্ৰেসকে। ওমর আব্দুল্লার এহেন বিবৃতির জন্য কংগ্ৰেসকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন,কংগ্ৰেসেরই অন্যতম শরিক,মহাজোটের প্ৰভাবশালী শরিক ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই বিবৃতির প্ৰতি কি আপনারা সহমত পোষণ করেন? এব্যাপারে কংগ্ৰেসকেই জবাবদিহি করার দাবি জানান মোদি। প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,ন্যাশনাল কনফারেন্স পূর্বের সেই ১৯৫৩ সালের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে।
‘কংগ্ৰেসের কোনও শরিক দলের এমন দাবি কি আপনারা মেনে নেবেন? কোনও ভারতীয় কি মেনে নেবেন এমন দাবি-প্ৰশ্ন তোলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী। মোদি আরও অভি্যোগ করেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের একজন সংসদীয় প্ৰার্থী দিন কয়েক আগে পাকিস্তনের সমর্থনে শ্লোগান দিয়েছেন। কিন্তু তা জানার পরও কংগ্ৰেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স টু শব্দটি করেনি।
মোদি অভি্যোগ করেন,দেশ বিভাজনের এই মানসিকতা ভারতের ব্যাপক ক্ষতি করবে। কংগ্ৰেসের এই মানসিকতা ভারত বিরোধী শক্তিগুলিরই হাত শক্ত করছে। এহেন মানসিকতার জন্যই তারা এয়ার স্ট্ৰাইক ও সার্জিক্যাল স্ট্ৰাইক নিয়ে প্ৰশ্ন তুলেছে। এই মানসিকতার বশবর্তী হয়েই ডোকলাম অচলাবস্থার সময় তারা চিনা দূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল। কংগ্ৰেসকে বিঁধতে গিয়েই প্ৰধানমন্ত্ৰী অকপটে কথাগুলি বলেন।
প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,আরও একবার সন্ত্ৰাসী হামলায় ক্ষতিগ্ৰস্ত হতে ভারত প্ৰস্তুত নয়। এখন আমরা জেনে গেছি পাল্টা সাড়া কিভাবে দিতে হয়। প্ৰয়োজনে আমরা সন্ত্ৰাসীদের আস্তানায় গিয়ে তাদের মারবো’-উল্লেখ করেন মোদি। এখানে এলবি স্টেডিয়ামে প্ৰধানমন্ত্ৰীর দৃপ্ত ভাষণে শুনে দর্শক-শ্ৰোতারা হর্ষধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান।
‘গত ৪০ বছর ধরে তারা প্ৰতিদিন আমাদের হত্যা করেছে এবং আমরা ভীত সন্ত্ৰস্ত হয়ে হাত পা গুটিয়ে বসেছিলাম। কারণ আমরা কিছু করতে গেলে ভোট ব্যাংক খোয়াতে হবে’-এভাবেই মোদি এদিন কংগ্ৰেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। ‘অনেক হয়েছে’। মোদি আর বেশি দিন এসব সহ্য করবে না-দৃঢ় সকন্ঠে বলেন তিনি।