ওড়িশার উপকূলে ধেয়ে আসছে ফেনি,৮ লক্ষের বেশি মানুষকে নেওয়া হল নিরাপদ আস্তানায়

গুয়াহাটিঃ ওড়িশার পূর্ব উপকূল অভিমুখে ঘূর্ণিঝড় ফেনি ধেয়ে আসার খবরে উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চল থেকে ৮ লক্ষের বেশি মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে বৃহস্পতিবার জোরদার অভিযান চালানো হয়। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের মতে,ওড়িশার পুরি থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপোসাগরে কেন্দ্ৰিভূত হচ্ছে ফেনি নামের এই বিধ্বংসী ঝড়। ফেনির কেন্দ্ৰিভূত এলাকাটি অন্ধ্ৰপ্ৰদেশের বিশাখাপট্টনম থেকে ২২৫ কিলোমিটার এবং পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে।
বিশেষ ত্ৰাণ কনিশনার বিপি শেঠির মতে,ফেনি উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে ধাবিত হয়ে পুরির কাছে ওড়িশার উপকূল অঞ্চল অতিক্ৰম করতে পারে আগামিকাল সন্ধে নাগাদ। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১৭০-১৮ হতে পারে এবং পরে প্ৰতি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে প্ৰবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শেঠি আরও বলেন,উপকূলের নিম্নাঞ্চল ও স্পর্শকাতর এলাকায় বসবাসকারী লোকেদের নিরাপদ আস্তানায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শেঠি আরও জানান,দেশে এই প্ৰথম বিশাল সংখ্যক ৮ লক্ষের বেশি মানুষকে নিরাপদ ডেরায় সরিয়ে নেওয়ার অভি্যান চালানো হলো। এই ঝড় অন্ধ্ৰপ্ৰদেশ,তামিলনাডু এবং পশ্চিমবঙ্গেও থাবা বসাতে পারে-উল্লেখ করেন তিনি।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্ৰী নবীন পট্টনায়ক ঝড়ের আগাম প্ৰস্তুতির বিষয়টি বুধবার সন্ধ্যায় এক বৈঠকে খতিয়ে দেখেছেন। পট্টনায়ক বলেন,সন্তান সম্ভবা মহিলা,শিশু,বৃদ্ধ ও প্ৰতিবন্ধীদের নিরাপদ আস্তানায় সরিয়ে নিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
শেঠি বলেন,ফেনি যে সব অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সেই সব অঞ্চলের ক্ষতিগ্ৰস্ত মানুষের সাহা্য্যে ১ লক্ষ প্যাকেটের বেশি ড্ৰাই ফ্ৰুট মজুত রাখা হয়েছে বিমান থেকে আক্ৰান্ত অঞ্চলে ফেলার জন্য।
১৯৯৯ সালের বিধ্বংসী সামুদ্ৰিক ঝড়ে ওড্ৰিশায় ১০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল। ধ্বংস হয়েছিল রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। রাজ্যের উপকূল অঞ্চল ও দক্ষিণ জেলাগুলিতে প্ৰায় ৮৮০টি আশ্ৰয়স্থল নির্মাণ করা হয়েছে ক্ষতিগ্ৰস্তদের আশ্ৰয় দেওয়ার উদ্দেশ্যে। ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলে প্ৰবল বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। ৯৯-এর ওই বিধ্বংসী ঝড়ের পর ফেনির প্ৰভাব ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।