কুমারিকাটা গ্রামের জনপ্রিয় খাবার ইঁদুরের মাংস

মুরগি, হাঁস, শুয়োর কিংবা পায়রা নয়। অসমের কুমারিকাটা গ্রামের সব থেকে জনপ্রিয় খাবার একটি অন্য রকমের মাংস। তা হল ইঁদুরের মাংস। ছুটির দিন মানেই রসিয়ে-কষিয়ে ইঁদুরের মাংস খাবার দিন।কী হল নাক সিঁটকোচ্ছেন না কি? মনে হচ্ছে কী ভাবে খায় সেখানকার মানুষ এই মাংস। তা হলে রান্নার পদ্ধতিটাও জেনে নিন।সেদ্ধ করে নিয়ে চামড়া সমেত মশলা দিয়ে কষা কষা করে।আসলে চাষের ফসলকে ইঁদুরের হাত থেকে বাঁচাতে রাতে মাঠের ইঁদুরগুলি শিকার করেন কৃষকরা। সেগুলি বাজারে বিক্রির জন্য কিনে নেয় ইঁদুর বিক্রেতারা। ফলে দেখা যাচ্ছে আয়ের একটি অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে এই ইঁদুর।
এক এক কিলোগ্রাম ইঁদুর বিক্রি হয় ২০০ টাকায়।কৃষকরা বলছেন, হালে ইঁদুরের পরিমাণও খুবই বেড়েছে। কৃষির মরশুমে বাঁশের তৈরি ফাঁদ পাতা হয় ক্ষেতে। যেখানে ইঁদুরের গর্তগুলি রয়েছে, সেখানে পাতা হয় এই ফাঁদ। রাতের দিকে গর্ত থেকে বেরিয়ে খেতে আসতে গেলেই তাতে ধরা পরে ইঁদুর।সাম্বা সোরেন এক জন ইঁদুর বিক্রেতা। তিনি বলেন, ফাঁদ পেতে ইঁদুর ধরা হয়। না হলে ক্ষেতের শষ্য শেষ হয়ে যাবে। আর এই ফাঁদে ধরা পড়া ইঁদুরের জন্য সারা রাত ঘুরতে হয়। নজর রাখতে হয় যাতে অন্য শিকারীদের হাতে এই ইঁদুরগুলি চলে না যায়। বলেন, এক একটি ইঁদুর এক এক কিলোগ্রাম মতো হয়। সারা রাতে মোটামুটি ১০ থেকে ২০ কিলোগ্রাম ইঁদুর হাতে আসে।