কেরলে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৩৭০,শিবিরে আশ্ৰিত ৭ লক্ষ মানুষ

তিরুবনন্তপুরমঃ বৃষ্টির প্ৰকোপ রবিবার থেকে হ্ৰাস পেলেও কেরলে এবার বিধ্বংসী বন্যায় প্ৰায় ৩৭০ জন প্ৰাণ হারিয়েছেন। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সীমাহীন। ৭,২৪,৬৪৯ জন বানভাসী মানুষকে আশ্ৰয় দেওয়া হয়েছে ৫,৬৪৫টি শিবিরে। এমন ভয়াবহ বন্যা কেরলের মানুষ আগে কখনও দেখেননি।
‘আমাদের প্ৰধান লক্ষ্য হচ্ছে জীবন বাঁচানো। এই দুর্যোগের ক্ষণে বহু মানুষের জীবন বাঁচানোও গেছে’-কেরলের মুখ্যমন্ত্ৰী পিনারায়ি বিজয়ন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সাংবাদিকদের একথা বলেন। বন্যায় বিভিন্ন শহর,গ্ৰাম জলে ডুবে যাওয়ার পর এখন জল ক্ৰমশ কমতে শুরু করেছে। বলা যেতে পারে,বন্যার ধ্বংসাত্মক মুহূর্তটা কেটে গেছে। ‘কেরলে প্ৰাকৃতিক দুর্যোগের এই ঘনঘটা খুবই মর্মান্তিক। ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেশি যে আমরা যেকোনও ধরনের সাহায্যই এই মুহূর্তে সাদরে গ্ৰহণ করবো’-কেরলের এই দুর্যোগের কথা বর্ণনা করতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্ৰী বিজয়ন কথাগুলি বলেন। ১৯২৪ সালের পর থেকে রাজ্যকে এমন প্ৰাকৃতিক ধ্বংসের মুখে কখনোই পড়তে হয়নি। বিজয়ন আরও বলেন,রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।
তবে রবিবার সকালে ইদুকি,এর্নাকুলাম ও পাথানামতিথা এই তিন জেলা থেকে লালসঙ্কেত প্ৰত্যাহার করে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি জেলায় এর মধ্যে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিও হয়েছে। রবিবার চেঙ্গানুর,পান্ডালাম,তিরুভালা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপক সংখ্যক জলবন্দিদের উদ্ধার করা হয়।