কয়লা খাদানে আটকে পড়া শ্ৰমিকের খোজে চলছে অভি্যানঃ বেরিয়ে আসছে পচা গন্ধ

মেঘালয়ে ১৫ শ্রমিক আটকে পড়া সেই খনি থেকে বেরিয়ে আসছে পচা গন্ধ। থাইল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা উচ্চক্ষমতার পাম্প দিয়ে উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে ডুবুরিরা সেই পচা গন্ধ পেতেই বাড়ছে দুশ্চিন্তা।গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া জেলার কসন গ্রামে জঙ্গলের ভিতরে অবস্থিত একটি বেআইনি কয়লা খাদানে (যেগুলিকে র্যাট হোল মাইনিং বলা হয়) নেমেছিলেন ওই শ্রমিকরা। ওই খাদানের পাশ দিয়েই বইছে লিটিয়েন নদী।
কিন্তু ওই খাদানের ভিতরে থাকা ১৫ শ্রমিকের জীবন নিয়ে টানাটানি চলছে এখনও। মূলত উদ্ধার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবের কারণেই মৃত্যুুর মুখ থেকে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না।এ দিন জানা যায়, ভারী যন্ত্রাংশ নির্মাণকারী এক ভারতীয় সংস্থা থাইল্যান্ড থেকে নিয়ে এসেছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প। যার সাহায্যে ওই খনি থেকে জল বের করে চলছে উদ্ধারকাজ।ডুবুরিদের দাবি, ওই খনিতে নেমে উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে তাঁরা পচা গন্ধ পেয়েছেন। যা পচনশীল কোনো মৃতদেহের বলেই মনে হয়েছে তাঁদের।
বেসরকারি পাম্প নির্মাণকারী ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তারা খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছে। মেঘালয়ের সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তারা এই কাজ করছে। খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করাই তাদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু প্রশ্ন অন্যত্র।উল্লেখ্য, উদ্ধারকারী দলের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, গত দুই সপ্তাহ ধরে যে পাম্প দিয়ে জল নিষ্কাশনের কাজ চলছিল, তা পর্যাপ্ত নয়। ওই খনি থেকে জল বের করতে ১০০ হর্স পাওয়ারের পাম্পের প্রয়োজন। প্রথম থেকেই বলা হয়ে আসছে, “বেআইনিভাবে চলা এই খাদানটির ২৫০ ফুট নীচ থেকে জলে ভর্তি হয়ে গেছে। জলস্তর রয়েছে আরও প্রায় ৭০ মিটার।”