Begin typing your search above and press return to search.

জিএসটির সীমা বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা,কিছুটা স্বস্তি পাবেন ক্ষুদ্ৰ ব্যবসায়ীরা

জিএসটির সীমা বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা,কিছুটা স্বস্তি পাবেন ক্ষুদ্ৰ ব্যবসায়ীরা

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  4 Oct 2018 8:10 AM GMT

গুয়াহাটিঃ অসমে যে সব ব্যবসায়ীরা বছরে মাত্ৰ ১০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেন তাদেরও এতদিন জিএসটি পরিশোধ করতে হতো। তবে বিধানসভায় জিএসটি আইন সংশোধন করে ১০ লক্ষের সীমা বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করেছে সরকার। এরফলে ব্যাপক সংখ্যক ছোটখাটো ও ক্ষুদ্ৰ ব্যবসায়ী জিএসটির আওতার বাইরে চলে যাবেন। এই সব ছোটমাপের ব্যবসায়ীরা এখন জিএসটি পঞ্জিয়ন অনায়াসে প্ৰত্যাহার করে নিতে পারবেন।

ওদিকে কম্পোজিট স্কিমের সীমা ৭৫ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১.৫০ কোটি টাকা করেছে সরকার। রাজ্যের অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন,জিএসটি পঞ্জিয়নের মাত্ৰা ১০ থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষে পরিবর্তন করায় রাজ্যের ক্ষুদ্ৰ ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট উপকৃত হবেন। তিনি উল্লেখ করেন,অসম ছাড়াও মেঘালয়,নাগাল্যান্ডে পঞ্জিয়নের মাত্ৰা ২০ লক্ষ করার বিষয়টি জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।

কয়েক মাস আগেই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে অসম সহ দেশের কয়েকটি রাজ্যে জিএসটির সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। ২০১৭-র ১ জুলাই থেকে সারা দেশে জিএসটি লাগু হয়। জিএসটি লাগু হওয়ার পর নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সারা দেশে যাদের ব্যবসার অঙ্ক ২০ লক্ষ টাকা তাদের জিএসটি পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু অনগ্ৰসর রাজ্য অসমে জিএসটির সীমা ধার্য করা হয়েছিল বছরে ১০ লক্ষ টাকা। এরফলে শহর ছাড়াও গ্ৰামগঞ্জের ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাও জিএসটির আওতায় চলে আসে। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় এমন ব্যবসায়ীরাও জিএসটিতে জড়িয়ে পড়েন। এদের পক্ষে জিএসটি রিটার্ন করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

ক্ষুদ্ৰ ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক হাহাকার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে বিধানসভায় জিএসটি আইন সংশোধনী বিল পেশ করে অর্থমন্ত্ৰী শর্মা বলেন,ক্ষুদ্ৰ ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই জিএসটি পরিশোধের সীমা ২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। তাই এখন থেকে যাদের ব্যবসার পরিমাণ বছরে ২০ লক্ষ টাকা তাদেরই জিএসটি ভরতে হবে। ক্ষুদ্ৰ ব্যবসায়ীরা জিএসটির আওতায় পড়বেন না।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম