Begin typing your search above and press return to search.

‘ডি’ ভোটারের তালিকা প্ৰস্তুত করতে জেলা নির্বাচনী কর্তাদের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন বিভাগের

‘ডি’ ভোটারের তালিকা প্ৰস্তুত করতে জেলা নির্বাচনী কর্তাদের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন বিভাগের

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  18 Aug 2018 12:49 PM GMT

গুয়াহাটিঃ একটা নির্ভুল জাতীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)প্ৰস্তুত করার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য ত্ৰুটিমুক্ত ভোটার তালিকা প্ৰস্তুতির ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে। রাজ্য নির্বাচন বিভাগ জেলা নির্বাচনী বিভাগের কর্মকর্তাদের(ডিইওএস)তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ‘ডি’ ভোটারের একটা বর্তমান তালিকা প্ৰস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে।

‘ডি’ ভোটার ইস্যুতে কিছু ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলার নিষ্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও তাদের ওপর থেকে ‘ডি’ ভোটারের তকমা না সরানোর খবরটি নির্বাচন বিভাগের হাতে আসায় এই প্ৰস্তাবটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এরই প্ৰেক্ষিতে নির্বাচন বিভাগ এধরনের মামলাগুলি পর্যালোচনার পর ওই সব ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে ‘ডি’ ভোটারের তালিকা প্ৰস্তুত করতে জেলা নির্বাচনী কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে। আবারএমনও উদাহরণ রয়েছে ‘ডি’ ভোটার চিহ্নিত অনেকের মামলা এখনও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ঝুলছে। জেলা নির্বাচনী কর্তাদের তালিকা প্ৰস্তুত করার সময় এই সব মামলাও খতিয়ে দেখতে হবে। পর্যালোচনার পর একটা নির্ভুল ও ত্ৰুটিহীন তালিকা চাইছে নির্বাচন বিভাগ এবং ওই তালিকাই তারা ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের(ইসিআই)কাছে পাঠাবে খসড়া ভোটার তালিকা প্ৰস্তুত করার জন্য,যা প্ৰকাশিত হবে চলতি বছরের অক্টোবরে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকার প্ৰথম অংশ প্ৰকাশিত হবে ২০১৯-এর ৪ জানুয়ারি। অসমে ‘ডি’ ভোটারের অর্থ হচ্ছে সন্দেহজনক ভোটার। এই সব ‘ডি’ ভোটারের নাগরিকত্বের বিশ্বাসযোগ্যতার সঠিক প্ৰমাণপত্ৰ না থাকার অভি্যোগ রয়েছে। ‘ডি’ ভোটার চিহ্নিত কোনও ব্যক্তি নির্বাচনে যেমন লড়তে পারবেন না তেমনি ভোটদানের অধিকারও তাদের থাকছে না। ১৯৯৭ সালে ভোটার তালিকা প্ৰস্তুত করার সময় ‘ডি’ ভোটার শব্দটি প্ৰথমবার ব্যবহার করা হয়। ৯৭ এর ১৭ জুলাই ইসিআই এক বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করে অসম সরকারকে অভারতীয়দের নাম ভোটার তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরই অসমে ভোটার তালিকার ব্যাপক সংশোধনের কাজ শুরু হয়। প্ৰকৃত ভারতীয়দের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ঘরে ঘরে গিয়ে জরিপ চালানো হয়। যারা ভারতীয় নাগরিকের সঠিক প্ৰমাণপত্ৰ দিতে পারেননি তাদেরই চিহ্নিত করা হয় ‘ডি’ ভোটার হিসেবে।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম