ধলা হত্যাকাণ্ডে উত্তপ্ত তিনসুকিয়া জেলায় এখনও বিরাজ করছে আতঙ্ক

ডিগবয়ঃ উজান অসমের তিনসুকিয়া জেলার ধলা-শদিয়া ঘাটের খেরবাড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭.৪৫ নাগাদ সন্ত্ৰাসীর গুলিতে একই পরিবারের তিন নিরীহ ব্যক্তিসহ পাঁচজনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গোটা জেলায় এখনও উত্তেজনা ও শঙ্কা বিরাজ করছে। এদিকে বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের প্ৰতিবাদে শুক্ৰবার বাঙালি ছাত্ৰ ফেডারেশনের ডাকা সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা তিনসুকিয়া জেলা বনধে স্বাভাবিক জীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। বাঙালি ছাত্ৰ ফেডারেশনের সদস্যরা পথে নেমে সরকার ও আলফা বিরোধী শ্লোগান দেয়। জেলার বিভিন্ন স্থানে পথও অবরোধ করে তারা।
ছাত্ৰ সংগঠনটি পাঁচদফা দাবি অবিলম্বে পূরণ করার জন্য সরকারের কাছে প্ৰস্তাব রেখেছে। তারা সন্ত্ৰাসের শিকার পরিবারগুলির নিকটাত্মীয়কে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ার দাবি করেছে। তাছাড়াও সব বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা,ধলা-শদিয়ায় স্থায়ী সেনা শিবির স্থাপন এবং কর্তব্যে গাফিলতির জন্য সাইখোয়া থানার ওসিকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়েছে তারা। অপরাধীদের অবিলম্বে গ্ৰেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে স্থানীয় বিধায়ক-বলিন চেতিয়া সহ কয়েকজন মন্ত্ৰী,পুলিশ প্ৰধান কুলধর শইকিয়া ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে নিরীহ লোকেদের হত্যাকাণ্ডে শোক প্ৰকাশ করেছেন। হত্যাকারীদের একাজকে তাঁরা কাপুরুষোচিত আখ্যা দিয়েছেন।‘পুলিশ প্ৰধান শইকিয়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্ৰতি শোক ব্যক্ত করে বলেন,আমরা তদন্ত শুরু করেছি,অপরাধীদের কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না’।
ওদিকে বিধায়ক বলিন চেতিয়া এই কাজকে ‘বর্বরোচিত ও অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে বলেন,গৃহ বিভাগ এবং রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে’। তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নিহতদের পরিবারগুলির জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে সাহায্য ও পরিবারগুলোর একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ১৫ ঘণ্টা পর তিনসুকিয়া হাসপাতালে শবগুলোর মরণোত্তর পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে আলফা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,তিনসুকিয়ায় ১ নভেম্বরের ঘটনায় তারা কোনওভাবে জড়িত নয়। ওদিকে উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য ডিগবয়ে আলফার আলোচনাপন্থী নেতা জিতেন দত্তকে গৌরীসাগর পুলিশ গ্ৰেপ্তার করেছে। গুয়াহাটি থেকে আসার পথে গ্ৰেপ্তার করা হয় দত্তকে। আরও এক আলোচনাপন্থী আলফা নেতা মৃণাল হাজরিকাকে পানবাজার পুলিশ গ্ৰেপ্তার করে নাগরিক(সংশোধনী)বিল নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখায়।