ধুবড়ি সীমান্তে স্মার্ট ডিজিটেল ফেন্সিঙের উদ্বোধন করলেন রাজনাথ

গুয়াহাটিঃ স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী রাজনাথ সিং আজ ধুবড়ির বর্মনপাড়া সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে স্মার্ট ডিজিটেল ফেন্সিঙের উদ্বোধন করেন। মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে ফেন্সিং প্ৰকল্পের বিষয়টি খতিয়েও দেখেন সিং। এদিন জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় কমপ্ৰিহেনসিভ ইন্টিগ্ৰেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমেরও উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী। সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বাংলাদেশ লাগোয়া ৪০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।
সীমান্ত ফেন্সিং উদ্বোধন করে রাজনাথ বলেন,রাজ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন,কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা অবশ্যই আলোচনার জন্য এগিয়ে আসতে পারে। ১৪ ফেব্ৰুয়ারি পুলওয়ামায় শহিদ হওয়া মনেশ্বর বসুমতারির স্মৃতিতে শ্ৰদ্ধা জানিয়ে রাজনাথ বলেন,কেউ দেশের ক্ষতি করতে চাইলে তাদের রেয়াত করা হবে না।
বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে বায়ু সেনার বোমা হামলা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী বলেন,বৈধ খবরের ওপর ভিত্তি করেই ওই আক্ৰমণ শানা হয়েছিল। আক্ৰমণে জঙ্গি ঘাঁটিতে কতজন মারা গেছে তার তথ্য সরকার কেন দিতে পারছে বলে প্ৰশ্ন করা হলে জবাবে রাজনাথ বলেন,বিরোধীরা পাকিস্তানের কাছ থেকে তার জবাব পেতে পারে। রাজনাথ এদিন কমপ্ৰিহেনসিভ ইন্টিগ্ৰেটেড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অধীনে বোল্ড কুইট বর্ডার ইলেকট্ৰনিক্যালি ডমিনেটেড কিউআরটি ইণ্টারসেপশন টেকনিক-এর উদ্বোধন করে তিনি বলেন,এই ব্যবস্থা খুবই চমৎকার যা প্ৰথমবার উদ্বোধন করা হয়েছে কাশ্মীরের ৯ কিলোমিটার এলাকার জন্য। বর্তমানে ধুবড়ির ৬১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই প্ৰকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। রাজনাথ উল্লেখ করেন ইজরায়েলে প্ৰথম তিনি এই প্ৰকল্প দেখেছিলেন। এখন তা ভারতে হচ্ছে। ধুবড়ির এই ৬১ কিলোমিটার এলাকা যেখান দিয়ে ব্ৰহ্মপুত্ৰ বাংলাদেশে ঢুকেছে। ওখানে বিশাল চর রয়েছে এবং বেশকটি নদী এসে মিলেছে। তাই সীমান্তের ওই এলাকায় বিশেষ করে বর্ষার মরশুমে পাহারা দেওয়া সীমান্ত রক্ষীদের কাছে খুবই কঠিন কাজ। এই সমস্যা থেকে পার পেতেই স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক ২০১৭ সালে প্ৰযুক্তিগত সমাধানের পথ বেছে নেয়। তবে বিএসএফ কর্মীও উপস্থিত থাকবে সীমান্তের ওই এলাকায়। ২০১৮ সালে বিএসএফ-এর প্ৰযুক্তি শাখা প্ৰকল্পটি হাতে নেয় এবং রেকর্ড সময়ের মধ্যে এর কাজ সম্পূর্ণ করে। এই প্ৰকল্প রূপায়ণের ফলে সব ধরনের সীমান্ত অপরাধ রোখা বিএসএফ-এর পক্ষে সম্ভব হবে।