নাগরিক বিলের বিরুদ্ধাচরণ করতে রাজনাথের সঙ্গে দেখা করলেন মেঘালয় ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্ৰী

শিলং: মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্ৰী কনরাড কে সাংমার নেতৃত্বে মেঘালয় ডেমোক্ৰ্যাটিক অ্যালায়েন্স(এমডিএ)-এর একটি প্ৰতিনিধি দল ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্ৰী জোরামথাঙ্গা শুক্ৰবার নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী রাজনাথ সিঙের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৬ পাসের বিরুদ্ধে তাঁদের অসন্তুস্টি ব্যক্ত করতেই সাক্ষাৎ করেন রাজনাথের সঙ্গে। উল্লেখ্য,গত ৮ জানুয়ারি লোকসভায় বিলটি ধ্বনিভোটে পাস হয়ে যায়। সাক্ষাৎকারের সময় মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্ৰী সাংমা স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰীকে অবগত করান যে তার রাজ্যে ইউডিপি,বিজেপি,এইচএসপিডিপি,পিডিএফ,এনসিপি এবং নির্দল সহ ছয়টি জোট শরিকের প্ৰত্যেকেরই মতামত হলো এই বিল পাস হলে মেঘালয় এবং গোটা উত্তরপূর্বের সামাজিক বুনোট নষ্ট হয়ে যাবে এবং পুরো অঞ্চলে সৃষ্টি হবে গুরুতর আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যার।
‘নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিরূপ প্ৰভাব ফেলবে। বিলটি উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষের জীবনধারার পরিপন্থী এবং বিলটি পাস হলে পুরো উত্তর পূর্বাঞ্চলে গুরুতর প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি করবে এবং সেইসঙ্গে অঞ্চলটিতে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যাও চাড়া দিয়ে উঠবে’-রাজনাথকে একথা বলেছেন সাংমা।
কনরাড সাংবাদিকদের বলেন,এই ইস্যু নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্ৰকাশ করার জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্ৰীদের এক সঙ্গে এগিয়ে আসা উচিত এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে কেন্দ্ৰীয় নেতৃত্বের সামনে একজোট হয়ে অবস্থান নেওয়া প্ৰয়োজন।
কনরাড বলেন,বিলটি সংশোধন নিয়ে প্ৰতিনিধিরা তাদের উৎকণ্ঠার কথা প্ৰকাশ করেছেন।
‘আমরা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য কেন্দ্ৰকে বলেছি। কেন্দ্ৰ বিষয়টি নিয়ে আরও একবার ভেবে দেখবে বলে আমরা আশা করছি’-বলেন সাংমা। তিনি আরও বলেন,বিলটি নিয়ে এই অঞ্চলের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল,সামাজিক সংগঠন ও নাগরিকরা কতটা উদ্বিগ্ন সে সম্পর্কে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰীকে অবগত করানো হয়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষ এই বিল কখনোই যে মেনে নেবেন না সেকথাও রাজনাথকে জানানো হয়েছে-বলেন কনরাড।