নৃত্যগুরু হরিচরণ সিংহ-র জীবনাবসান

গুয়াহাটিঃ প্ৰখ্যাত মণিপুরি নৃত্যশিল্পী এবং মেঘালয় ডে কাম ইউ তিরথ সিং পুরস্কার জয়ী গুরু হরিচরণ সিংহ আর নেই। প্ৰায় ৮৫ বছর বয়সী নৃত্যগুরু সোমবার শিলঙের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে রেখে গেছে স্ত্ৰী ও সন্তানদের।
কাছাড় জেলার শিলচরের শহরতলি সিংগারিতে তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৯৩৪ সালের ২৯ জুন। গুরু হরিচরণ প্ৰাথমিক শিক্ষা গ্ৰহণ করেছিলেন শিলচরে। তাঁর বাবা প্ৰয়াত কৃষ্ণধন সিংহ এবং মা প্ৰয়াত কৃষ্ণা দেবী।
মাত্ৰ ১৪ বছর বয়সে শান্তিনিকেতনে মণিপুরি নৃত্যের অধ্যাপক গুরু সেনারিক রাজকুমারের কাছে মণিপুরি নৃত্যে তালিম নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৪-৫৭ সাল পর্যন্ত শিলচর সংগীত বিদ্যালয়ে কণ্ঠ সংগীতে তালিম নিয়েছিলেন।
১৯৫৭ সালে তিনি শিলঙে চলে যান শাস্ত্ৰীয় মণিপুরি নৃত্যের প্ৰসার ঘটাতে এবং সেইসঙ্গে শিলঙে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সংস্পর্শে চলে আসেন। ১৯৬১ সালে তিনি ভারত সরকারের স্কলারশিপ লাভ করেন। কেন্দ্ৰীয় বিজ্ঞান গবেষণা ও সাংস্কৃতিক মন্ত্ৰক ১৯৬৩ সালে তাঁকে স্কলার্স সার্টিফিকেট দিয়ে সম্মানিত করে। শিলঙের বহু ইংরেজি শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানের সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন। ৭১ সালে হরিচরণ রাজস্থানের বনস্থলী বিদ্যাপীঠে মণিপুরি নৃত্য শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ওখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারায় আবার শিলঙে ফিরে আসেন। ১৯৮০ সালে লখনৌ-এর ভাতখণ্ডে সংগীত বিদ্যাপীঠ তাকে মণিপুরি নৃত্যের পরীক্ষক ও প্ৰশ্নপত্ৰ প্ৰস্তুতকারক হিসেবে নিয়োগ করে। ৮৫ সালে রাজস্থানের বনস্থলী বিদ্যাপীঠও তাঁকে পরীক্ষক ও প্ৰশ্নপত্ৰ প্ৰস্তুতকারক পদে নিযুক্তি দেয়। দেরাদুনেও বেশকটি শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানে মণিপুরি নৃত্য সম্পর্কে ছাত্ৰছাত্ৰীদের তালিম দিয়েছেন তিনি।