নোটবন্দির প্রথম ত্রৈমাসিকেই আর্থিক বৃদ্ধির হার কমেছে ভারতে! বলল আমেরিকার ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকনোমিক রিসার্চের দীর্ঘ গবেষণা। “ক্যাশ অ্যান্ড দ্য ইকনোমি: এভিডেন্স ফর্ম দ্য ইন্ডিয়া’স ডিমোনিটাইজেশন” শীর্ষক ওই গবেষণা রিপোর্টে স্পষ্টতই বলা হয়েছে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারকে নীচের দিকে টেনে নামাতে এহেন সিদ্ধান্ত ছিল যথেষ্ট সহায়ক।
২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। শীতের সেই সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে শুরু করে ২০১৭-র গ্রীষ্মেই। সংস্থাটি দীর্ঘকালীন একটি গবেষণায় দেখেছে, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হারকে ২ শতাংশ নামিয়ে দেয় মাত্র একটি ত্রৈমাসিক মেয়াদেই।সরকারি ভাবে যাচাই না করা ওই রিপোর্টের দাবি, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে যায়। যার সুদূরপ্রসারী ফল ভুগতে হয় ভারতীয় অর্থনীতিকে।
বাজার থেকে সে সময় চলতি ৮৬ শতাংশ বড়ো মূল্যের নোট তুলে নেওয়ার প্রভাব পড়ে যায় দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে।একই সঙ্গে ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, আমরা উপসংহারে পৌঁছেছি যে নগদহীন সীমা যথাযথভাবে উন্নত-অর্থনীতির বাজারের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ । আধুনিক ভারতের এই নগদহীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আগামী দিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।উল্লেখ্য, গবেষণাপত্রটি তৈরি করেছেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের গ্যাব্রিয়েল কোদোর-রিচ এবং গীতা গোপীনাথ, মুম্বইয়ের গোল্ডম্যান সাচসের গ্লোবাল ম্যাক্রো রিসার্চের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রাচী মিশ্র, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর তরফে অভিনব নারায়ণন।