পর্যাপ্ত জনশক্তির অভাবে সিআইডি-র তদন্ত প্ৰক্ৰিয়া বাধাগ্ৰস্ত হচ্ছে

গুয়াহাটিঃ পর্যাপ্ত জনশক্তির অভাবে অসম পুলিশের ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের(সিআইডি)গুরুত্বপূর্ণ তদন্তের কাজ ব্যাপকভাবে বাধাগ্ৰস্ত হচ্ছে। ২০১৯-এর ফেব্ৰুয়ারির শেষ অবধি রাজ্যে এই বিভাগটিতে তদন্তকারী অফিসারের ৪৪টি পদ খালি পড়ে আছে। খালি পদগুলির মধ্যে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ-এর(১টি),ইন্সপেক্টরস(৩১),সার ইন্সপেক্টর(৬)এবং সহকারী সার ইন্সপেক্টর অথবা এএসআই-র(নিরস্ত্ৰ শাখার)৬টি পদ ফাঁকা রয়েছে।
অসমে বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তকারী অফিসার ও অন্যান্যরা সহ মোট ৪১০ জন কর্মী রয়েছেন। বিভাগটির ৪১ জন আধিকারিক ও কর্মী রাজ্য পুলিশের অন্যান্য শাখায় ডেপুটেশনে রয়েছেন। তাই বাস্তব ক্ষেত্ৰে এই ৪০ জনকে এখন সিআইডি-র সঙ্গে জড়ানো যাবে না।
সিআইডি হচ্ছে ভারতীয় রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী এবং গোয়েন্দা শাখা। ১৯০২ সালে তদানীন্তন ব্ৰিটিশ সরকার এই বিভাগটি গঠন করেছিল ওই সময়ের পুলিশ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে। সাধারণ চুরি,ডাকাতি,যৌন অপরাধ,জালিয়াতি,নিগ্ৰহ,হত্যাকাণ্ড,তহবিল তছরুপ ইত্যাদি গুরুতর মামলার তদন্ত করে থাকে সিআইডি। তাছাড়া চুরির মতো সাধারণ মামলার ক্ষেত্ৰেও সিআইডি কখনো কখনো ইউনিফর্মড অফিসারদের সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও অপরাধ প্ৰতিরোধ ও অপরাধ চিহ্নিতকরণে রাজ্য পুলিশের কাজকর্মের প্ৰতি লক্ষ্য রাখা ও তা নিয়ন্ত্ৰণেও ভূমিকা নিয়ে থাকে সিআইডি। তাই এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের খালি পদসমূহ পূরণ করে সিআইডি-র হাত শক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এধরনের ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হলে ঝুলে থাকা মামলাগুলির তদন্তের কাজ এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্ৰে যথেষ্ট সহায়ক হবে।