Begin typing your search above and press return to search.

পুব ত্ৰিপুরা লোকসভা কেন্দ্ৰের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশের বেশি

পুব ত্ৰিপুরা লোকসভা কেন্দ্ৰের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশের বেশি

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  24 April 2019 1:14 PM GMT

আগরতলাঃ পিছিয়ে দেওয়া ত্ৰিপুরা পুব সংসদীয় আসনের নির্বাচনে মঙ্গলবার ১২.৫ লক্ষ ভোটারের ৮০ শতাংশের বেশি নিজেদের ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করেছেন। নির্বাচনী কর্মকর্তা একথা জানিয়ে বলেন,সব ভোট কেন্দ্ৰ থেকে চূড়ান্ত রিপোর্ট আসার পর ভোটদানের হার আরও একটু বেড়ে ৮০.৪০ শতাংশ হতে পারে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্ৰিপুরা আসনে ভোট পড়েছিল ৮৫ শতাংশ। কর্মকর্তাটি আরও জানান কিছু কিছু স্থানে ভোটার ও পোলিং এজেন্টদের ভীতি প্ৰদর্শন রুখতে পুলিশ ও নির্বাচন বিভাগ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্ৰহণ করে। তিনি বলেন,ইভিএম অথবা ভিভিপিএটি মেশিনে ত্ৰুটির জন্য ১০০টির মতো কেন্দ্ৰে ভোটগ্ৰহণ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছিল।

অভূতপূর্ব নিরাপত্তার মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ৭টায় ভোটগ্ৰহণ শুরু হয় এবং চলে বিকেল ৫টা অবধি। পূর্ব ত্ৰিপুরা কেন্দ্ৰে ভোটার হলেন ১২,৫৭,৯৪৪ জন। এরমধ্যে মহিলা হলেন ৬২,০২,৯১ জন। ১,৬৪৫টি কেন্দ্ৰে ভোটগ্ৰহণ করা হয়। দুজন মহিলা সহ মোট ১০ জন প্ৰার্থী ভাগ্য ইভিএম ও ভিভিপিএটি মেশিনে আটকা পড়েছে। প্ৰচণ্ড গরমের মধ্যে দলে দলে মানুষ বিভিন্ন কেন্দ্ৰে গিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করেন।

রিটার্নিং অফিসার বিকাশ সিং টেলিফোনে আইএএনএসকে একথা জানান। সিং উত্তর ত্ৰিপুরার ধলাই জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্ৰেট এবং কালেক্টর। তিনি বলেন,প্ৰচণ্ড রোদের জন্য ভোটারদের স্বার্থে অস্থায়ী চালা ঘর ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

পুলিশের মুখপাত্ৰ সুব্ৰত চক্ৰবর্তী জানান,পাহাড় ঘেরা জেলাটির কোনও অঞ্চল থেকে অপ্ৰীতিকর ঘটনার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে আমরপুর এলাকায় ভোটারদের ভয় দেখানো এবং নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে-জানান আরও এক পুলিশ কর্তা।

এই আসনে সিপিআই(এম)এর বর্তমান সাংসদ জিতেন্দ্ৰ চৌধুরী,বিজেপির রেবতী ত্ৰিপুরা এবং কংগ্ৰেস প্ৰার্থী কুমারী প্ৰজ্ঞা দেব বর্মনের মধ্যেই মূল লড়াই হয়েছে। প্ৰায় ১০ হাজার কেন্দ্ৰীয় আধা সামরিক বাহিনী,রাজ্য পুলিশ ও টিএসআর মোতায়েন করা হয়েছিল নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য। পুব ত্ৰিপুরা আসনে ১৮ এপ্ৰিল নির্বাচন হবার কথা ছিল। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূল না থাকায় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে ২৩ এপ্ৰিল করা হয়। ওদিকে ত্ৰিপুরা পশ্চিম লোকসভা আসনে গত ১১ এপ্ৰিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম