পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হালমায় ৪৯ শহিদের একজন মনেশ্বর

গুয়াহাটিঃ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় যে ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছেন,অসমের মনেশ্বর বসুমতারি(হেড কনস্টেবল)তাঁদেরই একজন। বসুমতারি বাকসা জেলার তামুলপুরের নিকটবর্তী কলাবাড়ি গ্ৰামের বাসিন্দা। ১৯৯০ সালে তিনি আধা সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। এখানে একমাস ছুটি কাটিয়ে গত ৪ ফেব্ৰুয়ারি বসুমতারি তাঁর কর্মস্থলে ফিরে গিয়েছিলেন।
ভয়াবহ বিস্ফোরণের কয়েক মিনিট আগে মনেশ্বর অসমে থাকা পরিবারের লোকেদের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলেছিলেন। ফিদায়েঁ হামলায় মনেশ্বর সহ অন্যান্য জওয়ানদের জীবনদীপ এভাবে নিভে যাবে,কেউ স্বপ্নেও তা কল্পনা করতে পারেননি। স্ত্ৰী ছাড়াও ২৫ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ২১ বছরের এক ছেলে রেখে গেছেন তিনি।
আত্মঘাতী এই জঙ্গি আক্ৰমণে অসমের আরও এক জওয়ান কনক কলিতা সামান্য আহত হন। তিনি গুয়াহাটির কাছেপিঠের মালাইবারির বাসিন্দা। সিআরপিএফ-এর ওই কনভয়ে আরও দুজন জওয়ান বঙাইগাঁওয়ের পবিত্ৰ বর্মন এবং গোলাঘাটের অনন্ত শইকিয়াও ছিলেন। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের ওই আত্মঘাতী বোমা হামলায় মনেশ্বর বসুমতারির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই তামুলপুরের বিধায়ক ইমানুয়েল মুসাহারি,আবসু ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা মনেশ্বরের বাড়িতে ছুটে যান পরিবারের সদস্যদের কাছে শোক ব্যক্ত করতে। জঙ্গির আত্মঘাতী ওই বোমা হামলাকে কাপুরুষোচিত আখ্যা দিয়ে বিধায়ক মুসাহারি এই ঘটনার নিন্দা করেন। তিনি আরও বলেন,রাজ্যসরকার এবং বিটিসি কর্তৃপক্ষ শহিদ মনেশ্বর বসুমতারির পরিবারের যৌথভাবে দেখাশোনা করবে।
এদিকে আরও জানা গেছে শহিদ মনেশ্বরের শব শনিবার সকালে এলজিবিআই বিমানবন্দরে এসে পৌঁছনোর কথা। এখানে পৌঁছনোর পরই শবদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর গ্ৰামের বাড়িতে। এরপর পূর্ণ সামরিক কায়দায় মনেশ্বর বসুমতারির অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন করা হবে।