বিদেশীর তকমা সইতে না পেরে আত্মহত্যা অসমে

ভারতীয় হয়েও ডিটেনশন ক্যাম্পে দের বছর কাটিয়ে মৃত্যুবরণ করলেন শশীমোহন সরকার। যে শশীমোহনের নথিপত্ৰ দেখিয়ে তাঁর ছেলে সঞ্জিত সরকার ভারতীয় নাগরিকের ছারপত্ৰ পেলো। সেই তথ্য দেখিয়ে কাতর মিনতি করেও নিজেকে ভারতীয় বলে প্ৰমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় শশীমোহনের(৮০)ঠাই হয়েছিল ডিটেনশন ক্যাম্পে। বিদেশি শনাক্তকরণ ট্ৰাইবুনালের নির্দেশে তাঁকে প্ৰেরণ করা হয়েছিল গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে। এখানেই মৃত্যুবরণ করলেন তিনি।
শশীমোহনের মৃত্যুর ঘটনায় সমগ্ৰ অসমে তোলপার উঠেছে। প্ৰশ্ন উঠছে এভাবে সঠিক বিচারের অভাবে আরও কত শশীমোহনকে নির্বিচারে প্ৰাণ হারাতে হবে। তবে আচর্যর বিষয় এই যে,শশীমোহনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ছেলে সঞ্জিত সরকারকেও বিদেশি সন্দেহ করে ‘ডি’ ভোটারে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ৮ বছরের আইনি যুদ্ধে শশীমোহনের নথিপত্ৰ পেশ করেই স্বদেশী বলে স্বীকৃতি পায় সঞ্জিত। উল্লেখ্য,জাতীয় নাগতিক পঞ্জি খসড়া তালিকায় নাম রয়েছে শশীমোহনের। এর পরও বিদেশী নাগরিকের কলংক নিয়ে ইহলোক ছাড়তে হলো শশীমোহনকে।
জানা গেছে,গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন শশীমোহন। তাঁকে নিয়ে আসা হয় গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে(জিএমসিএইছ)সেখানের তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে নাগরিকত্বে প্ৰমাণ করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন সঞ্জিত। দরিদ্ৰ সংসারে দিন গুজরান করতেই মাথা কুটে মরছেন সঞ্জিত। উল্লেখ্য,শশীমোহনের বাড়ি ছিল ছিরাং জেলার বাসুগাঁওয়ে হকৈপারায়। অন্যদিকে,জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়ায় নাম আসেনি,ভয়েই বাগান শ্ৰমিক কৈলাশ তাঁতি নিজের বাড়ির সামনে তিলায় একটি গাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে বরাক উপত্যকার কাটলিছড়ার ছনটিলা বাগানে। ঘটনায় বাগান শ্ৰমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তবে এধরনের ঘটনা অসমে দিন দিন ঘটেই যাচ্ছে।