বিশ্বনাথঃ গুয়াহাটির দুই যুবক অভিজিত নাথ ও নীলোৎপল দাসকে কার্বিআংলঙে ছেলেধরা সন্দেহে কয়েক মাস গণপ্ৰহারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এত বড় একটা ঘটনার পরও রাজ্যে গণপ্ৰহারের মতো নিষ্ঠুর ঘটনা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বুধবার ভোরে বিশ্বনাথের গ্ৰামে গবাদি পশুর চোরাচালানকারী সন্দেহে গ্ৰামের একাংশ উন্মত্ত মানুষ চার যুবককে নির্দয়ভাবে প্ৰহার করে। গণপ্ৰহারে মারা গেছে একজন। গবাদি পশুর চোরাচালানকারী অভিযোগে গ্ৰামের ২০ জনের একটি উন্মত্ত দল লাঠিসোটা নিয়ে ওই চার যুবকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অমানুষিকভাবে পেটাতে শুরু করে। যে ভ্যানে চেপে চার যুবক গ্ৰামে এসেছিল সেই ভ্যানের চালক অবশ্য পালিয়ে যায়।
প্ৰাপ্ত খবরে জানা গেছে ভ্যান থেকে দুটো চুরি যাওয়া গরু উদ্ধার করা হয়েছে। যুবকরা শুয়োর কিনতে গ্ৰামে এসেছে বলে জানানো সত্ত্বেও তাদের ওপর গণপিটুনি চলতে থাকে নির্দয়ভাবে। গণপ্ৰহারে আহতদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও দেবেন রাজবংশী নামে আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়। আহত অন্য তিনজন হলেন ফুলচান্দ সাহ,বিজয় নায়ক ও পূজেন রাজবংশী।
গণপ্ৰহারে হতাহতদের সবাই আদিবাসী সম্প্ৰদায়ের।বিশ্বনাথের পুলিশ সুপার দিগন্ত কুমার চৌধুরী বলেন,গণপ্ৰহারের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। কার্বি আংলঙের ঘটনা থেকে একাংশ মানুষ যে কোনও শিক্ষা নিতে পারেননি গতকালের ঘটনা তারেই জ্বলন্ত নজির।