ব্ৰু শরণার্থীদের প্ৰত্যাবর্তনে বাগড়া দিচ্ছে মিজোরামের কিছু এনজিওঃ অভিযোগ এমবিডিপিসিসি-র

শিলচরঃ ত্ৰিপুরায় আশ্ৰিত প্ৰায় ৩০ হাজার ব্ৰু শরণার্থীকে সুষ্ঠুভাবে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰক যখন আন্তরিক চেষ্টা চালাচ্ছে,সেই সময় মিজোরামের কিছু এনজিও এক্ষেত্ৰে অন্তর্ঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এই অভিযোগ মিজোরামের ব্ৰু ডিসপ্লেসড পিপলস কো-অর্ডিনেশন কমিটির(এমবিডিপিসিসি)। ব্ৰু শরণার্থীরা উত্তর ত্ৰিপুরার কাঞ্চনপুরের শরণার্থী শিবিরে এখনও আশ্ৰিত রয়েছেন। সেন্টিনেলকে পাঠানো এক ই-মেলে সর্বোচ্চ ব্ৰু সংস্থাটি বলেছে,শরণার্থীরা যখন নিজেদের স্থানে ফেরার জন্য মনস্থির করেছেন সেসময় কিছু মিজো এনজিও-র কর্মীরা উল্টো চাল চেলে হতাশাজনক পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এখানে স্মরণ করা যেতে পারে এমবিডিপিসিসি গত ৩ জুলাই কেন্দ্ৰ,মিজোরাম ও ত্ৰিপুরা সরকারের সঙ্গে চতুর্মুখী এক বৈঠকে মিলিত হয়ে ব্ৰু শরণার্থীদের প্ৰত্যাবর্তন প্ৰক্ৰিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গত ১০ আগস্ট আগরতলায় কেন্দ্ৰীয় সরকারের তদারক কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় মিজোরামের প্ৰতিনিধি,ত্ৰিপুরা সরকার ও এমবিডিপিসিসি-র মধ্যে। ওই বৈঠকে ৩ জুলাইয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি রূপায়ণে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিজোরাম সরকারের অভিপ্ৰায় ও ভূমিকার প্ৰতি তীব্ৰ নিন্দা করেছে এমবিডিপিসিসি।
তাইতেসিনা গ্ৰুপ,ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন এবং মিজো জিরলাই পাউল-এর মতো সাম্প্ৰদায়িক ভাবাদর্শে বিশ্বাসী কিছু সংগঠনকে মিজোরাম সরকার লেলিয়ে দেয় ১০ আগস্ট থাউয়ামপুই,জালনুয়াম নির্বাচন বিভাগের সরকারি গাড়ি আটকাতে। নির্বাচন বিভাগের গাড়িগুলি ওই দিন ত্ৰিপুরা অভিমুখে পাড়ি দিয়েছিল ২০১৮ সালের সাম্প্ৰতিক ভোটার তালিকার খসড়া এমবিডিপিসিসি নেতাদের হাতে পৌঁছে দিয়ে প্ৰয়োজনীয় লৌকিকতা সারতে। এমবিডিপিসিসি-র সাধারণ সম্পাদক বলেছেন ৩ জুলাইয়ের চুক্তি অনুযায়ী ত্ৰিপুরার ৭টি শরণার্থী শিবিরে থাকা মিজোরামের ব্ৰু শরণার্থীদের প্ৰত্যাবর্তন শুরু হওয়ার আগে আপডেট ভোটার তালিকার খসড়া তাদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ব্ৰুদের মিজোরামে ফেরাটা প্ৰায় পাকা ছিল। কিন্তু এক্ষেত্ৰে মিজোরাম সরকার দুমুখো নীতি নিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ করেছে এমবিডিপিসিসি।