গুয়াহাটিঃ ৩৯ বছর বয়সী মহম্মদ সুলেমান সরোয়ার প্ৰতি তিন-চার বছর অন্তর বাংলাদেশে নিজের বাড়িতে গিয়ে থাকে অথচ এই সুলেমানের রয়েছে ভারতীয় প্যানকার্ড,আধার কার্ড,ভোটার কার্ড। বর্তমানে সুলেমান বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। বাংলাদেশে নিজের জন্মভূমিতে যাওয়ার জন্য দালালকে ১২ হাজার পর্যন্ত টাকা দিয়ে আসছে। সুলেমান তার অভিভাবকদের নিয়ে ২২ বছর আগে ভারতে আসে। সালমা(২৫)নয় বছর আগে তার অসুস্থ শাশুড়িকে দেখার জন্য ভারতে আসার পর এই প্ৰথম স্বামীর বাংলাদেশের ভিটেতে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা নিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার জন্য দালালকে টাকাও দিয়েছিল। ৪৫ বছর বয়সী মহম্মদ দুলাল মিয়া পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের একটি গুহা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিল। বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য সেও দালালকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিল। সীমান্তে প্ৰহরারত বিএসএফ জওয়ানকে ঘুষ দিয়েই সে ভারতে ঢুকেছিল বলে অভিযোগ। সম্প্ৰতি সরকারি রেল পুলিশ যে ৩১ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিককে গুয়াহাটিতে আটক করেছে সুলেমান,সালমা ও দুলাল মিয়া ওই গ্ৰুপেরই এক একজন।
সোমবার সকালে আগরতলায় যাওয়ার উদ্দেশে কাঞ্চনজংঘা এক্সপ্ৰেসে ওঠার সময় রেল পুলিশ এদের গুয়াহাটি রেলস্টেশনে আটক করে। এই দলে ৮ জন মহিলা ও ১৩টি শিশু রয়েছে। এদের প্ৰত্যেকেই বেঙ্গালুরুতে ছোটখাটো কাজ করছে। বেঙ্গালুরু এক্সপ্ৰেসে রবিবার রাতে দলটি গুয়াহাটি এসে পৌঁছয়। তারা আগরতলার ট্ৰেন ধরার অপেক্ষা করছিল। ফারুক নামের যে দালালটি এদের কাছ থেকে টাকা ঘুষ নিয়েছিল সে বর্তমানে ফেরার। বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধ অনুপ্ৰবেশের ক্ষেত্ৰে একটা চক্ৰ যে সক্ৰিয় রয়েছে তা এখন পরিষ্কার। বিএসএফ সহ এই চক্ৰের মুখোশ খোলাই এখন বড় কাজ।