মধ্য প্ৰাচ্য থেকে হাওলার মাধ্যমে অসমে আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করছে ইডি

গুয়াহাটিঃ রাজ্যের ধর্মীয় প্ৰতিষ্ঠান অথবা অন্য কোনও সংগঠন মধ্যপ্ৰাচ্য থেকে হাওলা লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ পাচ্ছে কিনা তার তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেণ্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)।
বরপেটা জামিয়া ইসলামিয়া সালাফিয়া আরবিক কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম নকভিকে রবিবার ইডি হেফাজতে নেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। ৮ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা হাওলার মাধ্যমে লেনদেনে জড়িত অভিযোগে বরপেটা পুলিশ শনিবার নুরুল ইসলাম নকভিকে গ্ৰেপ্তার করে। ইসলাম ওই টাকা কুয়েত থেকে হাওলার মাধ্যমে পেয়েছেন।
হাওলা হচ্ছে অর্থ আদান প্ৰদানের একটা পদ্ধতি। এতে সরাসরি অর্থ লেনদেনের প্ৰয়োজন পড়ে না।
বরপেটার আরবিক কলেজের অধ্যক্ষকে এই বিশাল অঙ্কের অর্থ হাওলার মাধ্যমে পাঠানোর উদ্দেশ্য কি তার তদন্ত করছে ইডি। অন্য কোনও ধর্মীয় প্ৰতিষ্ঠান বা সংগঠন অনুরূপভাবে হাওলার মাধ্যমে লেনদেন করেছে কিনা ইডি তাও তদন্ত করবে। এধরনের লেনদেনে কোনও ব্যবসায়ী,জঙ্গি সংগঠন বা অবাঞ্ছিত শক্তি জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না-বলেছে সূত্ৰটি। জানা গেছে জেরার মুখে নকভি তার প্ৰতিষ্ঠান কুয়েত থেকে তহবিল পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ নকভির বাবাকেও গ্ৰেপ্তার করেছে।