মহানগরীর বুকে প্ৰায়ই হামলা চালাচ্ছে বুনো হাতির পাল,সমাধান কোন পথে?

গুয়াহাটিঃ হাতি-মানুষের সংঘাত এখন আর নতুন কথা নয়। বনাঞ্চল বেদখল ও সঙ্কুচিত হওয়ায় হাতিরা খাদ্যের খোঁজে হামেশাই লোকালয়ে নেমে আসছে। রাজ্যের বিভিন্ন গ্ৰাম ও শহরে হানা দিয়ে হাতিরা খেত,খামার নষ্ট করা ছাড়াও ভাঙছে মানুষের ঘরবাড়ি। সংঘাত বাঁধছে হাতি-মানুষের। মহানগরী গুয়াহাটিও এখন হাতির বিচরণ ভূমি হয়ে পড়েছে। শহরের পাঞ্জাবাড়ি,বাঘরবরি,সাতগাঁও,নারেঙ্গি এবং ফরেস্ট গেট এলাকায় প্ৰায়ই বুনো হাতির পাল নেমে এসে তাণ্ডব চালাচ্ছে। গুড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের ভিটে। গত মঙ্গলবারও একপাল হাতি পাঞ্জাবাড়ি এলাকায় হানা দিয়ে বেশকটি দোকান মাটিতে লুটিয়ে দেয়।
হাতির তাণ্ডবে রীতিমতো ত্ৰাসের সৃষ্টি হয় পাঞ্জাবাড়ি এলাকার মানুষের মধ্যে। হাতি মানুষের সংঘাতই এর কারণ। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে নারেঙ্গিতে গত কয়েক মাস ধরে হাতি-মানুষের সংঘাত প্ৰায় লেগেই আছে। মঙ্গলবার একপাল বুনো হাতি বাঘরবরি এলাকায় হানা দিয়ে একটি বাড়ির সীমানা প্ৰাচীর ভেঙে ফেলে। হাতির আক্ৰমণে আহত হন কয়েকজন ব্যক্তি। এসম্পর্কে রাজ্য বন বিভাগের একজন আধিকারিক দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,আমচাং অভয়ারণ্য হাতিদের বিচরণ স্থল। তাই কখনও খাদ্যের অভাব দেখা দিলে হাতিরা আশপাশ এলাকায় নেমে আসে। কারণ ওই এলাকাগুলি আসলে হাতির করিডর। তাই এলাকাগুলি এখন স্পর্শকাতর। এলাকাগুলিতে জনবসতি বেড়ে চলায় হাতিরা তাদের স্বাভাবিক চলাচলের ক্ষেত্ৰে বাধার মুখে পড়ছে। হাতিদের খাবার কারা কেড়ে নিয়েছে এবং তাদের লোকালয়ে আসার পথ কারা করে দিয়েছে তা নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে। এই সমস্যার সমাধান কোনও পথে করা যায় তা নিয়ে প্ৰত্যেকেই ভাবতে হবে।