মাঝরাতে মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে সেবার পরিকল্পনায় বিরূপ প্ৰতিক্ৰিয়া

গুয়াহাটিঃ অসম মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ(সেবা)এবছর মাধ্যমিক ও হাইমাদ্ৰাসা চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল মাঝরাতে ঘোষণা করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে বিভিন্ন ছাত্ৰ,অভিভাবক ও শিক্ষকরা ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। ‘মাঝরাতে মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার কোনও প্ৰয়োজন আছে বলে তারা মনে করেন না। এতে শুধু দুশ্চিন্তা বাড়বে বৈকি এবং আমাদেরও ফলাফল জানার জন্য মাঝরাত অবধি বসে থাকতে হবে। গত বছর যেভাবে অর্থাৎ বেলা ১১ টায় ফল ঘোষণা করা হয়েছিল এবারও ওই পথ অনুসরণ করে একটা নির্দিষ্ট দিনে একই সময়ে ফল ঘোষণা করাই উত্তম হবে’-একথা বলেছেন প্ৰণব জ্যোতি নাথ নামে মাধ্যমিকের এক পরীক্ষার্থী।
বিভিন্ন সরাসরি এবং এমন কি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরাও সেবার এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। ‘সহজ ভাষায় বলতে গেলে মাঝরাতে ফল ঘোষণা করা হলে এতে শুধু ঝামেলাই পাকাবে। আমি মনে করি দেশের কোনও শিক্ষা সংসদেই মাঝরাতে ফলাফল ঘোষণার ব্যবস্থা নেই। তাই এক্ষেত্ৰে সেবা কোনও ব্যতিক্ৰমী প্ৰতিষ্ঠান নয়’-মহানগরীর একটি সরাসরি হাইস্কুলের জনৈক শিক্ষক এভাবেই তাঁর প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করলেন।
ওদিকে সেবার একজন কর্মকর্তা মাঝরাতে পরীক্ষার ফল ঘোষণার কারণ সম্পর্কে বলেন,কিছু ইলেকট্ৰনিক প্ৰচার মাধ্যম আগাম ফলাফল জানার জন্য তৎপর হয়ে পড়ে। এই অসন্তোষজনক পরিস্থিতি এড়াতেই মাঝরাতে ফল ঘোষণার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সেবা।
স্বাভাবিক ক্ষেত্ৰে দেখা যায় সেবা আগেভাগেই রেজাল্ট শিট স্কুল ও স্থানীয় মিডিয়া হাউসগুলিতে পাঠিয়ে দেয় এবং তাদের এই নির্দেশ দেওয়া হয় যে তারা যেন ফল ঘোষণার দিন বেলা ১১ টার আগে তা প্ৰকাশ না করে। অতীতে বেশ কবছর এই নিয়মই পালন করা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে যে কিছু নিউজ চ্যানেল চরম সময়সীমা ১১ টার আগেই ফলাফল ঘোষণা করে দিয়েছে।
সেবা এবার ২০ মে-র আগে মাধ্যমিক ও হাইমাদ্ৰাসার ফলাফল ঘোষণা করার পরিকল্পনা এঁটেছে। তবে এনআরসি নবায়ন ও নির্বাচনী কাজে ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষক জড়িত থাকায় উত্তর পত্ৰগুলি পরীক্ষায় বিলম্ব ঘটছে।
এবার রাজ্যের ৮৫৭টি কেন্দ্ৰে মোট ৩,৪২,৭০২ জন মাধ্যমিক ও ৯,৪৪১ জন ছাত্ৰ-ছাত্ৰী হাই মাদ্ৰাসা চূড়ান্ত পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে।