রাজ্যে আধার রূপায়ণে মন্থর গতি,ফার্মগুলিকে সতর্ক করল জিএডি

গুয়াহাটিঃ অসমে আধার রূপায়ণের কাজ এখনও জোরকদমে শুরু না হওয়ায় একাজে নিযুক্ত ফার্মগুলিকে সতর্ক করতে বাধ্য হচ্ছে দিশপুর। রাজ্যে আধার রূপায়ণের জন্য অনেক দেরি করে চলতি বছরের ৬ অক্টোবর ছটি ফার্মকে এই কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যে আধার রূপায়ণে সাধারণ প্ৰশাসন বিভাগের(জিএডি)তদারকিতে রাজ্যকে দশটি জোনে ভাগ করা হয়। এরই প্ৰেক্ষিতে রাজ্যে ৩২৪১টি আধারে নাম অন্তর্ভুক্তি কেন্দ্ৰ স্থাপন করা হয়েছে। প্ৰতিটি কেন্দ্ৰে রাজ্য সরকারের একজন নথি পরীক্ষক কর্মকর্তা রয়েছেন। আধার রূপায়ণে জিএডি হছে নোটিফায়েড স্টেট রেজিস্ট্ৰার। ইউআইডিএআই(ইউনিক আইডেনটিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া)এব্যাপারে ইতিমধ্যেই একটি নোটিশ ইস্যু করেছে। রাজ্যে আধার রূপায়ণে নিযুক্ত ছটি ফার্মের প্ৰত্যেকের সঙ্গে জিএডি-র এক বছরের চুক্তি হয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলাশাসকই আধার রূপায়ণ কাজের অগ্ৰগতি তদারক করছেন।
জিএডি-র কমিশনার এম অঙ্গামুথু দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,‘আধার রূপায়ণের কাজ আমরা পর্যালোচনা করেছি। তবে কিছু ফার্মে কাজের অগ্ৰগতি মন্থর হওয়ার খবর আমাদের হাতে এসেছে। আমরা কাজ দ্ৰুত এগোতে তাদের বলেছি’।
সূত্ৰটির মতে,গোয়ালপাড়া,দক্ষিণ শালমারা এবং মানকাচর,বঙ্গাইগাঁও,কাছাড় ও হাইলাকান্দি জেলায় আধার রূপায়ণের কাজ খুবই ঢিলেঢালা গতিতে চলছে। তবে বাকসা,কার্বি আংলং ও ধেমাজি জেলায় কাজ চলছে ঠিকঠাকভাবেই-বলেছে সূত্ৰটি।
যে ছটি ফার্ম আধার রূপায়ণের কাজ করছে তাদের সামনে কিছু সমস্যাও রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে বিভ্ৰাটই হচ্ছে তাদের প্ৰধান সমস্যা। তবে জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্ৰেশন বিভাগ(জিএডি)নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে ফার্মগুলিকে। আধার হচ্ছে বারো সংখ্যার একটা ইউনিক আইডেনটিটি নম্বর যা যেকোনও ভারতীয় সংগ্ৰহ করতে পারেন।