গুয়াহাটিঃ রাজ্যে প্ৰথম দফা নির্বাচনে লড়াইয়ে অবতীর্ণ সবচেয়ে ধনী প্ৰার্থী হলেন জিতেন গগৈ। কলিয়াবর কেন্দ্ৰের নির্দল প্ৰার্থী তিনি। সবচেয়ে গরিব প্ৰার্থী কনক গগৈ। যোরহাট কেন্দ্ৰ থেকে কনক গগৈ লড়ছেন সিপিআই প্ৰার্থী হিসেবে।
অন্যদিকে,প্ৰতিদ্বন্দ্বী ৪১ জন প্ৰার্থীর মধ্যে ৩৯ শতাংশই হচ্ছেন কোটিপতি।
শীর্ষ চার কোটিপতি প্ৰার্থীর বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো। কলিয়াবরের প্ৰার্থী জিতেন গগৈর(৫৭ বছর)মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯ কোটি টাকারও বেশি। আইএনসি প্ৰার্থী এমজিভিকে ভানুর(৬০)(যিনি তেজপুর লোকসভা আসনে লড়ছেন)সম্পত্তির পরিমাণ ৮ কোটি টাকারও ঊর্ধ্বে। ডিব্ৰুগড় কেন্দ্ৰের আইএনসি প্ৰার্থী পবন সিং ঘাটোয়ারের(৬৭)সম্পত্তি ৫ কোটি টাকারও বেশি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। লখিমপুর কেন্দ্ৰের আইএনসি প্ৰার্থী অখিল বরগোঁহাইর(৫১)সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি টকারও বেশি।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্ৰ্যাটিক রিফর্মস-এর তরফ থেকে ইস্যু করা ‘আসাম ইলেকশন ওয়াছ’(এডিআর)-এর সাম্প্ৰতিক বুলেটিনে এই তথ্য প্ৰকাশ করা হয়েছে।
প্ৰথম দফায় ডিব্ৰুগড়,যোরহাট,কলিয়াবর,লখিমপুর ও তেজপুর লোকসভা কেন্দ্ৰে সর্বমোট ৪১ জন প্ৰার্থী লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন। এই কেন্দ্ৰগুলিতে ভোট হচ্ছে ১১ এপ্ৰিল। এদের জন্য ১২ জন প্ৰার্থী নির্দল। বাকি ১৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের।
এডিআর-এর ওই বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ৯৫ শতাংশ পুরুষ প্ৰতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় মাত্ৰ ৫ শতাংশ মহিলা প্ৰার্থী প্ৰতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এতে আরও বলা হয়েছে,লড়াইয়ের ময়দানে থাকা ১৪ জন প্ৰার্থী তাদের আর্থিক দায় ঘোষণা করেছেন। এদের মধ্যে যোরহাট কেন্দ্ৰের নির্দল প্ৰার্থী নন্দিতা নাগ তার দায় ৬০ লক্ষ টাকা বলে উল্লেখ করেছেন। ডিব্ৰুগড়ের বিজেপি প্ৰার্থী প্ৰদান বরুয়ার আর্থিক দায় ৫৮ লক্ষের বেশি। আসাম দৃষ্টি পার্টির প্ৰার্থী দিলীপ মরান তার আর্থিক দায় ১৫ লক্ষের বেশি বলে উল্লেখ করেছেন। আইএনসি প্ৰার্থী গৌরব গগৈর(৩৬)আর্থিক দায় ১২ লক্ষ টাকার বেশি বলে ঘোষণা করেছেন।