রেলওয়ে ক্লেইমস ট্ৰাইব্যুনাল,গুয়াহাটি দ্বিতীয় বেঞ্চ

গুয়াহাটিঃ রেল ব্যবহারকারীদের,বিশেষ করে পণ্য পরিবহণকারীদের,আরও সন্তুষ্টির জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আরেকটি প্ৰচেষ্টায়,রেলওয়ে ক্লেইমস ট্ৰাইব্যুনাল,গুয়াহাটিতে সম্প্ৰতি একটি নতুন বেঞ্চ চালু করা হয়েছে। এই উপলক্ষে ভাল কাজের পরিবেশ এবং দাবিদারদের আরও বেশি সুবিধা যুক্ত পরিবেশে ট্ৰাইব্যুনালের জন্য একটি নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে,যার উদ্বোধন করা হয়। মহামান্য বিচারপতি মি.কে.কান্নন,চেয়ারম্যান,রেলওয়ে ক্লেইমস ট্ৰাইব্যুনাল,প্ৰিন্সিপাল বেঞ্চ,নয়াদিল্লি দ্বারা নতুন বেঞ্চ সমেত এই নবনির্মিত বিল্ডিঙের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর পূব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্ৰী সঞ্জীব রায়,শ্ৰী বি.বি.ভার্মা,রেলওয়ে ক্লেইমস ট্ৰাইব্যুনাল,গুয়াহাটির মেম্বার(টেকনিক্যাল)প্ৰমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য,এরূপ ক্লেইমস ট্ৰাইব্যুনাল স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হল-সমস্যা থেকে দ্ৰুত নিষ্কৃতির ব্যবস্থা করা এবং রেল ব্যবহারকারীদের ক্ষতিপূরণের শীঘ্ৰ পেমেন্টের ব্যবস্থা করা। সারা দেশে জুড়ে বর্তমানে ১৮টি বড় শহরে রেলওয়ে ক্লেইমস ট্ৰাইব্যুনালের ২১টি বেঞ্চ রয়েছে। সাধারণত যে ধরনের ক্লেইম কেস আসেঃ-
১. রেলওয়ে দুর্ঘটনা এবং অযাচিত ঘটনায় মৃত্যু ও আঘাতপ্ৰাপ্ত হওয়া।
২. রেলওয়েতে বুকিং করা পশু/পণসমূহের ক্ষতি,হারিয়ে যাওয়া,নষ্ট হওয়া,অবস্থার অবনতি হওয়া,ডেলিভারি না-হওয়া অথবা রেলওয়ে প্ৰশাসনের ব্যবস্থায় দাবিদার সন্তুষ্ট না হলে সেক্ষেত্ৰে ভাড়া বা ফ্ৰেট চার্জ ফেরতের ব্যবস্থা।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে,রেলওয়ে ক্লেইমস ট্ৰাইব্যুনাল,গুয়াহাটি বেঞ্চে অসম,ত্ৰিপুরা,নাগাল্যান্ড,মণিপুর,মেঘালয়,মিজোরাম,অরুণাচল প্ৰদেশ ও সিকিম-এর রেল ব্যবহারকারীদের থেকে প্ৰাপ্ত সব ধরনের রেলওয়ে সম্পর্কিত দাবির বিষয়গুলি নিয়ে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হয়। বিশাল সংখ্যক দাবি সম্পর্কিত মামলা,বিশেষত পণ্য পরিবহণকারীদের থেকে,কেবলমাত্ৰ একটি বেঞ্চে সমাধান করা সম্ভব না হবার দরুন এক বিরাট সংখ্যক মামলা অনিষ্পাদিত অবস্থায় থেকে যায়। যার ফলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রেল ব্যবহারকারীরা সময়মতো দাবির নিষ্পত্তি না হওয়াতে হতাশ হয়ে পড়েন।
বেঞ্চ চালু করার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহামান্য বিচারক মি.কে.কান্নন আশার প্ৰকাশ করীন যে এই নতুন অতিরিক্ত বেঞ্চ চালুর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অনিষ্পাদিত দাবির বিষয়গুলির দ্ৰুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হলে এই অঞ্চলের রেল ব্যবহারকারীরা যথেষ্ট উপকৃত হবেন।