Begin typing your search above and press return to search.

রোহিঙ্গা মুসলিমদের অসমে আনার পিছনে ন্যস্তস্বার্থান্বেষীরা জড়িতঃ হিমন্ত

রোহিঙ্গা মুসলিমদের অসমে আনার পিছনে ন্যস্তস্বার্থান্বেষীরা জড়িতঃ হিমন্ত

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  23 Feb 2019 10:54 AM GMT

গুয়াহাটিঃ একটা ন্যস্ত স্বার্থান্বেষী চক্ৰ রাজ্যে অবৈধভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের আনতে চক্ৰান্ত ফেদেছে। রাজ্যের অর্থ ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা শুক্ৰবার একথা বলেন। দিশপুর জনতাভবনে এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। শর্মা বলেন,ন্যস্ত স্বার্থান্বেষী ওই চক্ৰটি তাদের চক্ৰান্ত সফল করে তুলতে কিছুটা হলেও সফল হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সম্প্ৰতি ৩০ জনের বেশি রোহিঙ্গাকে গ্ৰেপ্তারের ঘটনা এর সত্যতাকে তুলে ধরছে। অসমের জন্য এটা বাস্তবিকই গম্ভীর উৎকণ্ঠার বিষয়। তিনি বলেন,সাহিল এডুকেশনাল সোসাইটি সহ বেশকিছু সংগঠন রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্ৰতি সহানুভূতি দেখাচ্ছে এবং তারাই রোহিঙ্গাদের অসমে এনে আশ্ৰয় দেওয়ার জন্য নানাভাবে সাহা্য্য করছে। এমনকি রোহিঙ্গাদের জন্য তারা চাঁদাও তুলছে। ‘রাজ্যে পুলিশের একজন বরিষ্ঠ কর্মকর্তার হাতে একটি চিঠি এসেছে। ওই চিঠিতে রিফিউজি কার্ড থাকার জন্য আটক রোহিঙ্গাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য তাঁকে অনুরোধ জানানো হয়েছে’-উল্লেখ করেন শর্মা। এদিকে কিছু মৌলবাদী সংগঠনও রাজ্যে তাদের ভিত শক্ত করছে। মন্ত্ৰী বলেন,নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিলের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন চলার সু্যোগেই অসমে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অনুপ্ৰবেশ ঘটেছে। রাষ্ট্ৰপুঞ্জের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর ইস্যু করা শরণার্থীর পরিচয়পত্ৰ রোহিঙ্গাদের কাছে থাকলেও তাদের রাজ্যে আশ্ৰয় দেওয়া সম্ভব নয়-বলেন হিমন্ত।

ইউএনএইচসিআর-এর মতে,আনুমানিক ১৭ হাজার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু রয়েছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ভারতে নাম নথিভুক্ত করে বিভিন্ন স্থানে বাস করছে। ‘তেলেঙ্গানা,দিল্লি ও জম্মু ও কাশ্মীরের মতো আমাদের রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য কোনও ডেজিগনেট শিবির নেই। গ্ৰেপ্তার হওয়া রোহিঙ্গারা বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে এবং আদালতই এদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চূড়ান্ত রায় দেবে’-জানান শর্মা। অর্থমন্ত্ৰী আরও বলেন,আসলে ২০০৯ সাল থেকেই রোহিঙ্গারা অসমে আসতে শুরু করে। ওই সময় কংগ্ৰেস রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল। ২০০৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পল্টন বাজার বাস স্ট্যান্ড থেকে অবৈধভাবে আসা প্ৰথম রোহিঙ্গা মুসলিমকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছিল। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত স্বল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা মুসলিমের অনুপ্ৰবেশ ঘটেছিল রাজ্যে। এরপর হঠাৎ করে রোহিঙ্গাদের রাজ্যে অনুপ্ৰবেশের ঘটনা বাড়তে থাকে-উল্লেখ করেন শর্মা। এই সব রোহিঙ্গাদের রাজ্যে আশ্ৰয় দেওয়ার ক্ষেত্ৰে একটা চক্ৰ পুরোপুরি সক্ৰিয় ভূমিকা পালন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম