Begin typing your search above and press return to search.

স্থানীয় ভূমিপুত্ৰদের প্ৰভুত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বান আসুর

স্থানীয় ভূমিপুত্ৰদের প্ৰভুত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বান আসুর

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  8 April 2019 11:30 AM GMT

গুয়াহাটিঃ লোকসভা নির্বাচনের প্ৰচার চলার মধ্যেই সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)রাজ্যের জনগণকে দৃঢ়তার সঙ্গে নির্ণায়ক ভূমিকার পাশাপাশি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে,যাতে করে রাজ্যে ভূমিপুত্ৰদের প্ৰভুত্ব অক্ষুণ্ণ থাকে। ছাত্ৰ সংগঠনটি সম্প্ৰতি তাদের প্ৰতিনিধিদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্ৰচার মাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আসুর সভাপতি দীপাঙ্ক কুমার নাথ এবং সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ বলেন,নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৯ সংসদে উত্থাপন করে কেন্দ্ৰের বিজেপি সরকার অসম চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তাঁরা বলেন,আসু এবং নেসো(উত্তর পূর্ব ছাত্ৰ সংগঠন)কংগ্ৰেস,শিবসেনা,জনতা দল(ইউ),অকালি দল,এনডিএ-র শরিক,বিহার অন্ধ্ৰপ্ৰদেশ,মেঘালয় ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্ৰী সহ উত্তরপূর্বের বিভিন্ন আঞ্চলিক দল ও অসমের ৩০টি জাতীয় সংগঠনের সমর্থনের জোরে কেন্দ্ৰের বিলটি আইনি রূপ দেওয়ার প্ৰয়াস ভেস্তে দিতে পেরেছে।

তবে আসু নেতারা বলেন,ওই সমস্যা এখনও জেগে রয়েছে। কারণ বিজেপি বলেছে ক্ষমতায় এলে তারা ফের বিলটি সংসদে তুলবে। বিলটি(ক্যাব)আইনি রূপ পেলে তা ধর্মের ভিত্তিতে অসমকে বিভাজিত করবে। তাই বিলের বিরুদ্ধে অসম ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে আন্দোলন চলবে-বলেন তাঁরা।

‘গত পাঁচ বছরে প্ৰধানমন্ত্ৰী অসম চুক্তি নিয়ে একটাও ত্ৰিপাক্ষিক বৈঠক ডাকতে ব্যর্থ হয়েছেন। অসম চুক্তির ৫ নং দফা একপাশে ঠেলে রেখে কেন্দ্ৰ সাংবিধানিক রক্ষাকবচের দোহাই দিয়ে ৬ নং দফা রূপায়ণ করার চেষ্টা করছে।

দিল্লি এবং দিশপুর উভয়েই বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্ত এলাকা সিল করার প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা প্ৰতিশ্ৰুতির খেলাপ করেছে। উল্টে তারা অসমের জমি বাংলাদেশকে হস্তান্তরের জন্য একধাপ এগিয়ে গেছে। ‘রাজ্যের সীমান্ত এলাকা এখনও সুরক্ষিত নয়’। তাঁরা আরও বলেন স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী রাজনাথ সিং কিছুদিন আগে ভারত’-বাংলাদেশ সীমান্তে স্মার্ট ফ্যান্সিঙের উদ্বোধন করছেন। তবে এধরনের ব্যবস্থায় কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে না যদি না নদীপথে স্থায়ী টহলদারি,ভাসমান আউটপোস্ট,সেকেন্ড লাইন অফ ডিফেন্স ও দেখা মাত্ৰ গুলির নির্দেশ বহাল করা হয়। তাই এটা স্পষ্ট যে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এখনও সিল করা বাকি আছে।

বন্যা ও ভাঙন প্ৰসঙ্গে আসু নেতারা বলেন,‘পূর্বতন সরকারের মতো বিজেপি সরকারও এই দুটো সমস্যা সমাধানে খুব কমই গুরুত্ব দিয়েছে। ছয় জনগোষ্ঠীকে উপজাতির মর্যাদা দিতে ও রাজ্যে এই গোষ্ঠীগুলোর সমস্যা মোকাবিলায়ও ব্যর্থ হয়েছে সরকার। নগাঁও ও কাছাড় কাগজ কল পুনরুজ্জীবিত করতেও ব্যর্থ হয়েছে তারা। পূর্বাঞ্চলের পৃথক নিয়োগ বিভাগ আজ অবধি খুলতে পারেনি’। আসুর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য অসমের সমস্যা সমাধানে ও রাজ্যের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে জনগণকে ভেবেচিন্তে নির্ণায়ক ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম