কোয়েম্বাটুরঃ পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার চালানো বিমান হামলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তার পরিপ্ৰেক্ষিতে বায়ু সেনা প্ৰধান বিএস ধানোয়া বলেছেন,হামলায় কতজন মারা গেছে তার বাহিনী তা গুনেনি। তবে অভীষ্ট লক্ষ্যেই আঘাত হেনেছে বায়ু সেনা।
‘ওই আক্ৰমণে কতজন মারা গেছে তার সংখ্যা স্পষ্ট করে জানানোর মতো অবস্থানে নেই ভারতীয় বায়ু সেনা। সরকার এব্যাপারে স্পষ্টীকরণ দেবে। কতজন মারা গেছে তার সংখ্যা আমরা গুনি না। কতজনের মৃত্যু হয়েছে সেই সংখ্যা গোনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পেরেছি কিনা সেটা অবশ্য আমরা গুনেছি। বিমান হামলায় কতজন মারা গেছে তার হিসেব দেওয়া বিমান বাহিনীর কাজ নয়। এটা পারে সরকার-এখানে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
‘বিদেশ সচিব এক বিবৃতি বায়ু সেনার মূল লক্ষ্যকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। আমরা যে লক্ষ্যে আঘাত হানবো বলে স্থির করেছিলাম সেই লক্ষ্যেই মোক্ষম আঘাত হানা হয়েছে। অন্যথায় পাকিস্তানের প্ৰধানমন্ত্ৰী সাড়া দিতে যাবেন কেন? আমরা যদি জঙ্গলে বোমা ফেলে থাকি তাহলে কেন সাড়া দিলেন পাক প্ৰধানমন্ত্ৰী’।
ধানোয়া গত ২৬ ফেব্ৰুয়ারি প্ৰথমবার জনসমক্ষে মন্তব্য করেছিলেন যে ১৪ ফেব্ৰুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হওয়ার পরিণতিতেই বায়ু সেনা এই অভিযান চালায়।
বালাকোটে জইশের ঘাঁটিতে বায়ু সেনার আক্ৰমণে কতজন মারা গেছেন তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই হামলায় কতজন জঙ্গি মারা পড়েছে তার হিসেব সরকারিভাবে জানানো হয়নি। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রবিবার আহমেদাবাদে দাবি করেছেন বায়ুসেনার বিমান হানার ২৫০-এর বেশি জঙ্গি নিকেশ হয়েছে।
কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী এস এস আলুওয়ালিয়া বলেছেন,ভারত যে শত্ৰু পক্ষের ভূখণ্ডে গিয়ে আঘাত হানতে পারে বালাকোটের ঘটনা তারই এক বার্তা। কতজন মারা গেল সেটা বড় কথা নয়।
ধানোয়া বলেন,বোমায় ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করাটা একটা আলদা বিষয়। কিন্তু কতজন মারা গেল তা গুনতি করা বায়ুসেনার এক্তিয়ারের বাইরে। ওই হামলায় মিগ-২১ ব্যবহার করা হয়েছিল বলে তিনি জানান। চলতি বছরই রাফাল যুদ্ধ বিমান বায়ুসেনার হাতে এসে যাবে-জানান ধানোয়া।