অসমের ইতিহাসে ৩০ অক্টোবরের এই অভিশপ্ত দিনটির আজ দশ বছর পূর্ণ হলো। ২০০৮ সালে দীপাবলির আনন্দময় পরিবেশের মধ্যেই এই দিনটি আসমের ইতিহাসে কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। গুয়াহাটি,বরপেটা রোড,কোকরাঝাড় ও বঙাইগাঁওয়ে ১৮টি ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে প্ৰাণ হারিয়েছিলেন ৮০ জন নিরীহ মানুষ। ওই সব বিস্ফোরণে বহু মানুষ চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণগুলির দশ দশটা বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও ন্যায় বিচার পাননি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্ৰস্ত ভুক্তভোগী পরিবারগুলি। কিন্তু বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা ও ফাঁকফোকরের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দিব্যি জামিন পেয়ে মুক্ত আকাশের নিচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মূল অভি্যুক্ত রঞ্জন দৈমারি।
অসমের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে পরিগণিত ৩০ অক্টোবরের ওই সিরিয়াল বিস্ফোরণে প্ৰাণ হারানো ব্যক্তিদের স্মরণে আজ রাজ্যের বিভিন্ন প্ৰান্তে শ্ৰদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মহানগরী গুয়াহাটির গণেশগুড়ির উড়াল সেতুর নিচে বিস্ফোরণ স্থলে রাজ্য সরকার কেন্দ্ৰীয়ভাবে পালন করছে কালো দিবস। ২০০৮-এর ওই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে প্ৰাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবার আজও ন্যায়ের আশায় অধীর আগ্ৰহে পথ চেয়ে আছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য,বিজেপি বিধায়ক অতুল বরা,কামরূপ মহানগর-এর জেলাশাসক বীরেন্দ্ৰ মিত্তাল সহ ব্যাপক সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তি। উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনও।