নাগরিকত্ব বিল অসমের ভূমিপুত্ৰদের রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করবেঃ মুখ্যমন্ত্ৰী

নাগরিকত্ব বিল অসমের ভূমিপুত্ৰদের রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করবেঃ মুখ্যমন্ত্ৰী

গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল(সিএবি)২০১৯-এর বিরোধিতাকারী সব সংগঠন ও দলের সমালোচনায় বৃহস্পতিবার সোচ্চার হয়ে ওঠে ভারতীয় জনতা পার্টি(বিজেপি)। বিলের পক্ষে মতামত ব্যক্ত করে বিজেপি বলেছে,এই বিল অসমের মানুষের বহু প্ৰতীক্ষিত রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করবে। নেডার(এনইডিএ)আহ্বায়ক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল সহ দলীয় নেতারা দলের রাজ্য শাখার পৃষ্ঠপোষকতায় মহানগরীর সরুসজাই স্টেডিয়ামে আয়োজিত পঞ্চায়েত প্ৰতিনিধিদের সংবর্ধনা সমারোহে উদাত্ত কণ্ঠে কথাগুলি বলেন।

ওই সমাবেশে নেডার আহ্বায়ক তথা অর্থ ও পূর্তমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন,‘বিধানসভার ৩৭টি আসন ইতিমধ্যেই আমাদের হাত ছাড়া হয়ে গেছে। আরও ১৮টি আসন আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে যাবে যদি না নাগরিকত্ব বিল পাস হয়’। এই তথ্য তুলে ধরে শর্মা বলেন,‘১৯৭১ সালের জনগণনা অনু্যায়ী অসমের মোট জনসংখ্যার ৭১ শতাংশ ছিল হিন্দু। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা হ্ৰাস পেয়ে দাঁড়ায় ৬১ শতাংশ এবং ২০২১ সালে অসমে হিন্দুর সংখ্যা হ্ৰাস পেয়ে সম্ভবত ৫১ থেকে ৫২ শতাংশে দাঁড়াতে পারে’।

নাগরিকত্ব বিল বিরোধী আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করে মন্ত্ৰী শর্মা বলেন,সন্দেহভাজন বিদেশিরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যখন সত্ৰের জমি বেদখল করছে,সে সময়ে তারা কোনও আওয়াজ না তোলাটা সত্যিই আশ্চয্যের বিষয়। মইনবড়ি সত্ৰের শিব ও কৃষ্ণ মন্দিরের কি হলো? কামরূপ সত্ৰ,আদি সত্ৰ,বালি সত্ৰ,কোনোরা সত্ৰ,জনিয়া সত্ৰে এখনও দখল চলছে-বলেন তিনি। অর্থমন্ত্ৰী এদিন আরও ঘোষণা কবেন ২০২১ সালে তিনি রাজ্য রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন।

সমাবেশে বক্তব্য রেখে মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন ‘অসমিয়া মানুষের সাংবিধানিক রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করতে প্ৰধানমন্ত্ৰীর উচ্চ পর্যায়ের কমিটি(এইচপিসি)’গঠনের প্ৰতি সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)সমর্থন না করার বিষয়টি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। তিনি এইচপিসি-র সদস্যদের অবস্থান পাল্টে কমিটিতে ফিরে তাঁদের প্ৰস্তাব দাখিল করার আহ্বান জানান। আমরা তাদের সুপারিশ রূপায়ণ করে অসমকে সুরক্ষিত করবো’-বলেন সোনোয়াল।

নাগরিক বিল সম্পর্কে তিনি বলেন,ইস্যুটি নিয়ে কিছু লোক ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে। ‘বিলটি পাস হলে অসমের ভাষা,সংস্কৃতি,সাহিত্য ও পরম্পরা সুরক্ষিত হবে। এটা আমাদের অস্তিত্বের ক্ষেত্ৰে কোনও সমস্যা সৃষ্টি করবে না। এই বিল পাস হলে সত্ৰ,নামঘরের পবিত্ৰতা অক্ষুণ্ণ থাকবে। নাগরিক বিল হচ্ছে কেন্দ্ৰের ইস্যু এবং আমরা শুধুমাত্ৰ তা রূপায়ণ করতে পারি’-এদিন বিল বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্ৰী। তিনি পঞ্চায়েত প্ৰতিনিধিদের দুর্নীতিতে কোনও ধরনের আমল না দিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com