বিরোধীদের প্ৰতিবাদ বিক্ষোভের মুখেই শুরু হলো রাজ্য বাজেট অধিবেশন

বিরোধীদের প্ৰতিবাদ বিক্ষোভের মুখেই শুরু হলো রাজ্য বাজেট অধিবেশন

গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৯-এর বিরুদ্ধে বিরোধীদের হৈ হল্লার মধ্যে রাজ্যপাল জগদীশ মুখির ভাষণ দিয়েই আজ অসম বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হলো। নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৯-এর প্ৰ্তিবাদে রাজ্যে চলা টালমাটাল পরিস্থিতির পরিপ্ৰেক্ষিতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে বিধানসভা চত্ত্বরে। রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হয় এই অধিবেশন। এরপর বিধানসভায় বেশকিছু বিল উত্থাপন করা হবে। অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আগামি ৬ ফেব্ৰুয়ারি ২০১৯-২০ সালের বাজেট বিধানসভায় পেশ করবেন। বাজেট অধিবেশন চলবে ২৬ ফেব্ৰুয়ারি অবধি।

বিরোধীরা নাগরিক বিল নিয়ে এবার অধিবেশনে ঝড় তুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। টানা আড়াই বছর সরকারের শরিক হিসেবে থাকার পর এবার অসম গণ পরিষদ(অগপ)বিরোধীদের আসনে বসে। এব্যাপারে বিরোধীদের জন্য আসন মজুত রাখতে অগপ ইতিমধ্যেই বিধানসভার অধ্যক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছিল।

আজ ভাষণের শুরুতে রাজ্যপাল মুখি সদনে বলেন,সুধাকণ্ঠা ড.ভূপেন হাজরিকাকে মরণোত্তরভাবে দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করার খবর এই মুহূর্তে আমাদের সবার কাছেই অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। মুখি বলেন,হাজরিকা ছিলেন একাধারে সুগায়ক,গীতিকার,সঙ্গীতজ্ঞ,কবি ও চলচ্চিত্ৰ নির্মাতা। তাঁর গান প্ৰ্তিটি প্ৰজন্মকে সম্মোহিত ও অনুপ্ৰাণিত করেছে। সাম্প্ৰদায়িক সম্প্ৰীতি,সর্বজনীন ন্যায় ও অন্যের প্ৰতি সম অনুভূতির ওপর প্ৰতিষ্ঠিত তাঁর গান। সুধাকণ্ঠের প্ৰ্তিটি গান আমাদের জনজীবনের বিভিন্ন দিক স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছে। অসম ও উত্তর পূর্বের সংস্কৃতি ও লোকসঙ্গীতকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনপ্ৰিয়তার শিখরে তুলে ধরেছিলেন তিনি। ড.হাজরিকা শ্ৰেষ্ঠ সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার,পদ্মশ্ৰী,পদ্মভূষণ,পদ্ম বিভূষণ সহ দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারও পেয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন,১৯৬৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত রাজ্য বিধানসভার একজন সম্মানীয় সদস্য ছিলেন হাজরিকা।

রাজ্যপাল বলেন,বগিবিল সেতু নির্মাণ সম্পূর্ণ করা বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য। বলেন,এই সেতু উত্তর পূর্বাঞ্চলের জনগণের মধ্যে যোগসূত্ৰ গড়ে তুলেছে। ক্ৰীড়াক্ষেত্ৰে হিমা দাস ও চলচ্চিত্ৰ জগতে রিমা দাসের সাফল্য রাজ্যের জন্য গৌরবের বিষয় বলে রাজ্যপাল উল্লেখ করেন।

রাজ্যপাল বলেন,অসম চুক্তির দ্ৰুত ও ফলপ্ৰসূ রূপায়ণে বর্তমান সরকার বেশকিছু ,পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের এই সব পদক্ষেপের মধ্যে আছে সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণের অগ্ৰগতি,সীমান্ত সিল করা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্ৰীর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন এবং অসম আন্দোলনে শহিদ হওয়া ব্যক্তিদের প্ৰতিটি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে এককালীন আর্থিক সাহায্য প্ৰদান এবং আন্দোলনের সময়ে আহত ও ধর্ষণের শিকার হওয়া মহিলাদের ২লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন,জাতীয় নাগরিক পঞ্জির(এনআরসি)নবায়নের কাজ সম্পূর্ণ হলে এটা অসমকে বিদেশির কবল থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্ৰে একটা শক্তিশালী রক্ষাকবচের ভূমিকা নেবে।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com