গুয়াহাটিঃ বরদুমসা থানার অফিসার-ইনচার্জ ভাস্কর কলিতা বুলেট প্ৰুফ জ্যাকেট পরা অবস্থায় জঙ্গির গুলিতে প্ৰাণ হারিয়েছিলেন। জঙ্গির গুলি কলিতার বুলেট প্ৰুফ জ্যাকেট ফুড়ে তাঁর বুক ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল। বুলেট প্ৰুফ জ্যাকেট পরা অবস্থায় পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যুর পর ওই জ্যাকেটের মান নিয়ে প্ৰশ্ন উঠে। জ্যাকেটের মান খতিয়ে দেখতে গঠিত তদন্ত কমিশন প্ৰায় ছমাস আগেই তাদের তদন্ত রিপোর্ট দিশপুরকে দাখিল করেছে। কিন্তু এই বিষয়টিতে কি ধরনের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে সে ব্যাপারে রাজ্যের মানুষ আজও অন্ধকারে রয়েছেন।
তিনসুকিয়া জেলার অসম-অরুণাচল প্ৰদেশ সীমান্ত গত বছর আলফার(সংযুক্ত মুক্তিবাহিনী,অসম)সঙ্গে সংঘর্ষে প্ৰাণ হারিয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিক ভাস্কর কলিতা। আলফার গুলি বুলেট প্ৰুফ জ্যাকেট বিদ্ধ করে তাঁর বুক ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল। বুলেটপ্ৰুফ জ্যাকেট পরা অবস্থায় কলিতার মৃত্যুর ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল দিশপুরকে। এরপর গৃহ বিভাগ অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে জ্যাকেটের গুণগত মান খতিয়ে দেখার জন্য। এই তদন্ত কমিশন প্ৰায় ছমাস আগে তাদের তদন্ত রিপোর্ট দিশপুরকে দাখিল করে।
বুলেট প্ৰুফ জ্যাকেটে কোনও ত্ৰুটি ছিল কিনা কিংবা ত্ৰুটি থাকলেও এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনও শান্তিমূলক ব্যবস্থা আজ অবধি গ্ৰহণ করা হয়নি। তাছাড়া থেকে থেকে এই তদন্ত চালানো হয়েছে। ওই লটের প্ৰতিটি জ্যাকেট পরীক্ষায় প্ৰকৃত নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি বলেও অভি্যোগ রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর জ্যাকেটে ত্ৰুটির জন্য কারা দায়ী এবং তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে আজও অন্ধকারে রাজ্যের মানুষ। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরও সরকার কেন অ্যাকশন নেয়নি তা নিয়ে প্ৰশ্ন তুলেছেন এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের মতে,রিপোর্টে বেশকিছু সুপারিশও থাকতে পারে। এধরনের জ্যাকেটে ভবিষ্যতে যাতে কোনও ত্ৰুটি না থাকে তারও সুপারিশ করা হতে পারে রিপোর্টে। তদন্তের রিপোর্ট ও সুপারিশগুলির প্ৰতি যদি যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া না হয় তাহলে সাধারণ মানুষ এটা ভারতে বাধ্য হবেন যে,এধরনের তদন্ত চোখে ধুলো দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়।