রাজ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার হাল পাল্টাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকারঃ তপন গগৈ

রাজ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার হাল পাল্টাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকারঃ তপন গগৈ

গুয়াহাটিঃ বিদ্যুতের তারে লেগে মৃত্যুর ঘটনা ঠেকাতে এবং সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা চাঙ্গা করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার অসম বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের(এপিডিসিএল)অধীনে পুরো ক্যাবল নেটওয়র্ক পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরনো এবং নিম্নমানের তারগুলো পাল্টাতে খরচ পড়বে ৩২৮৪.০৪ কোটি টাকা। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের(এডিবি)কাছে এই টাকা ঋণ চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্ৰী(স্বতন্ত্ৰ)তপন কুমার গগৈ শুক্ৰবার বিধানসভায় একথা জানান। বিধানসভায় জিরো আওয়ারে প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তথা অগপ বিধায়ক প্ৰফুল্ল কুমার মহন্তের এক প্ৰশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তিনি।

গগৈ বলেন,জীর্ণ হয়ে পড়া নিম্নমানের পুরনো তার পাল্টে উন্নত মানের এভি ক্যাবল বসানো হবে। তিনি বলেন ‘বর্তমানে এপিডিসিএল-এর অধীনে গোটা রাজ্যে ৬০ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ পরিবাহী তার রয়েছে। কাঠ এবং বাঁশের সমস্ত বিদ্যুতের খুঁটিও পাল্টাতে হবে। বিদ্যুতের খুঁটি পাল্টানোর জন্য ইতিমধ্যেই ২৫ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে’। এরআগে প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী মহন্ত রাজ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। এসব মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে দেখা গেছে এরজন্য মূলত এপিডিসিএল-এর বর্তমান পরিকাঠামোই দায়ী। মহন্ত এপিডিসিএল-এর কাজকর্মের যাবতীয় দিক যথাযথভাবে তদারক করতে সরকারের প্ৰতি আহ্বান জানান।

মন্ত্ৰী গগৈ বলেন,গত ১২ বছরে রাজ্যে বিদ্যুতের তারে লেগে ৮৮৩ জন লোকের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০১৮-এর মধ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার ১৩৬টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৬৫টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হলেও ৭১টি মামলা এখনও ঝুলছে। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হওয়া ২৮টি পরিবারের সদস্যকে এপিডিসিএল-এ চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে গগৈ জানান। গগৈ আরও বলেন,এখন থেকে আগামি ১০ বছরের মধ্যে রাজ্য বিদ্যুতের ক্ষেত্ৰে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে। রাজ্যে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন বর্তমানে রাজ্যে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ১৬৬৫ মেগাওয়াট।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com