দিল্লিতে বরিষ্ঠ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং ও আনন্দ গ্ৰোভারের বাড়িতে সিবিআই হানা

দিল্লিতে বরিষ্ঠ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং ও আনন্দ গ্ৰোভারের বাড়িতে সিবিআই হানা

নয়াদিল্লিঃ সেণ্ট্ৰাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন(সিবিআই)বৃহস্পতিবার সকালে বরিষ্ঠ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং এবং তাঁর স্বামী আনন্দ গ্ৰোভারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। আইনজীবী দম্পতির বিরুদ্ধে বিদেশি তহবিল সংক্ৰান্ত একটি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে সিবিআই।

খবরে প্ৰকাশ,আজ সকাল ৫টা নাগাদ দিল্লির নিজামউদ্দিন এলাকায় ইন্দিরার বাড়ি এবং একই সঙ্গে এনজিও কার্যালয় ও মুম্বইয়ের আরও একটি কার্যালয়ে সিবিআই তল্লাশি চালায়।

এরআগে ফরেন কনস্ট্ৰিবিউশন(রেগুলেশন)অ্যাক্ট(এফসিআরএ)লঙ্ঘনের অভিযোগে ইন্দিরা জয়সিঙের স্বামী আনন্দ গ্ৰোভার এবং তাঁর এনজিও লয়ার্স কালেক্টিভিটির বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়। স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তকারী সংস্থা মামলাটি নথিভুক্ত করে দাখিল করে। ওই অভিযোগে ইন্দিরা জয়সিঙের নামও অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মামলায় জয়সিঙের ভূমিকা নিয়ে একমাত্ৰ সিবিআই অভিযোগ করেছে। তদন্তকারী সংস্থার অভি্যোগ অনু্যায়ী জয়সিং লয়ার্স কালেক্টিভিটি থেকে পারিশ্ৰমিক হিসেবে ৯৬.৬০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।

ওই অভিযোগে বলা হয়েছে আনন্দ গ্ৰোভার এবং তার এনজিও ফরেন কনট্ৰিবিউশনের অপব্যবহার করা ছাড়াও ওই তহবিল ভারতের বাইরে খরচ করেছেন।

স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰকের এক অভিযোগে বলা হয়েছে এই গ্ৰুপটি ২০০৬ এবং ২০১৪ সালের মধ্যে ৩২ কোটিরও বেশি টাকা পেয়েছে।

কেন্দ্ৰীয় তদন্ত ব্যুরোর আচমকা হানায় প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন,‘মানব অধিকারের জন্য কাজ করায় গ্ৰোভার এবং আমাকেই নিশানা করা হয়েছে। অথচ আমরা অনেক দিন থেকেই একাজ করছি’।

সিবিআই যে মামলাটি নথিভুক্ত করেছে তাতে এনজিওতে ইন্দিরা জয়সিঙের অবদানের কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ওই সময়ে অর্থাৎ ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তিনি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ছিলেন। উল্লেখ্য,ওই সময় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের অনুমোদন না নিয়ে তাঁর বিদেশ ভ্ৰমণের খরচ স্পনসর করেছিল এনজিওটি।

বরিষ্ঠ আইনজীবীর বাড়িতে সিবিআই-র এই তল্লাশি অভিযানের নিন্দা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্ৰী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্ৰী কেজরিওয়াল টুইট করে বলেছেন,‘প্ৰখ্যাত আইনজীবীর বাড়িতে সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযানের দৃঢ় কণ্ঠে নিন্দা করছি আমি। আইন নিজের পথেই এগিয়ে যাবে। আইনের শাসন ও সাংবিধানিক মূল্যবোধ কায়েম রাখতে তাঁরা সারা জীবন লড়েছেন’-টুইটে বলেন কেজরিওয়াল।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com