গুয়াহাটিঃ ওড়িশার প্ৰলয় ঘূর্ণিঝড় ফেনির প্ৰভাব অসমের কয়েকটি জেলায় পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজ্যের জেলা প্ৰশাসনগুলি ইতিমধ্যেই সতর্ক সঙ্কেত জারি করেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্ৰতি লক্ষ্য রেখে গুয়াহাটি সহ প্ৰতিটি জেলায় ব্ৰহ্মপুত্ৰে ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। গুয়াহাটি এবং আশপাশ অঞ্চলে আজ সকাল থেকেই ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে অঝোরে বৃষ্টিও ঝরছে। পরিস্থিতি জটিল রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এরাজ্যে প্ৰধানত শনি ও রবিবার ‘ফেনি’র প্ৰভাব পড়ার আশঙ্কায় দুটো ক্যাটেগরিতে সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্ৰীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান দপ্তর।
ধুবড়ি,কোকরাঝাড়,গোয়ালপাড়া,বঙাইগাঁও,চিরাং,বরপেটা,কামরূপ,দক্ষিণ শালমারা,মানকাচর ও বাক্সায় কমলা রঙের ও নলবাড়ি,কামরূপ(মহানগর),দরং,মরিগাঁও,শোণিতপুর,কাছাড় ও করিমগঞ্জে পীত বর্ণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রবিবার বঙাইগাঁও,চিরাং,বরপেটা,নলবাড়ি,বাক্সা,শোণিতপুর,ওদালগুড়ি,ধুবড়ি,কোকরাঝাড়,গোয়ালপাড়া,কামরূপ,কামরূপ(মেট্ৰো),দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর,নগাঁও,হোজাই,বিশ্বনাথ,পশ্চিম কার্বি আংলং,যোরহাট,মাজুলি,লখিমপুর,ধেমাজির সঙ্গে ডিব্ৰুগড়েও কমলা রঙের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আজ ৪ মে এবং আগামিকাল ৫ মে গুয়াহাটি ও উত্তর গুয়াহাটির মধ্যে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পাশাপাশি ধুবড়ি,যোরহাট,মাজুলি,ডিব্ৰুগড়,শোণিতপুর সহ প্ৰত্যেক জেলায় ব্ৰহ্মপুত্ৰ দিয়ে নৌকো চলাচল বন্ধ থাকছে।
এদিকে যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি হয়ে রয়েছে দুর্যোগ প্ৰশমন কর্তৃপক্ষ। জনগণের সুবিধার্থে প্ৰশাসনের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে বিনামূল্যের হেল্পলাইন নম্বর। এই নম্বর দুটো হলো-১০৭০,১০৭৭ ও ১০৭৯।
এদিকে পুরিতে তীর্থ করতে যাওয়া অসমের নলবাড়ি জেলার ৩৪ জন তীর্থযাত্ৰীর একটি দলকে পুরি থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং অসম সরকার তাঁদের গুয়াহাটি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে। বাইহাটা চারালির ১৮ জন তীর্থযাত্ৰীর মধ্যে দুজন ইতিমধ্যে কলকাতা এসে পৌছেছেন। অসম সরকার তাদের গুয়াহাটি ফিরিয়ে আনবে। বাইহাটা চারালির বাকি ১৬ জন তীর্থযাত্ৰী এখনও পুরিতে রয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা পুরিতে অবস্থান করার সদিচ্ছা প্ৰকাশ করেছেন।