প্ৰধানমন্ত্ৰীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অগ্ৰণী দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোবে ভারতঃ ভুবনেশ্বর

প্ৰধানমন্ত্ৰীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অগ্ৰণী দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোবে ভারতঃ ভুবনেশ্বর

গুয়াহাটিঃ সম্প্ৰতি বিজেপিতে যোগদানকারী রাজ্যসভার প্ৰাক্তন সাংসদ ভুবনেশ্বর কলিতা বলেছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের অগ্ৰণী দেশগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাবে। বিজেপি ও কংগ্ৰেসের তুলনা টেনে কলিতা বলেন,কংগ্ৰেসের ভাবনা শুধু নেতৃত্ব বা নেতাকেন্দ্ৰিক,কোনও ক্যাডার নেই। কিন্তু বিজেপিতে সবাই ক্যাডার।

কলিতা গত ৫ আগস্ট কংগ্ৰেস ছেড়েছেন এবং ৯ আগস্ট দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গত শনিবার ভুবনেশ্বরবাবু গুয়াহাটি এসে পৌঁছলে রাজ্যের মন্ত্ৰী ভবেশ কলিতা বিমান বন্দরে তাঁকে অভিনন্দন জানান। রবিবার কলিতা রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে এলে দলের রাজ্যসভাপতি রঞ্জিৎ কুমার দাসও অভিনন্দন জানান তাঁকে।

এখানে অটলবিহারী বাজপেয়ী ভবনে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কলিতা বলেন,‘চার দশকের বেশি সময় কংগ্ৰেসে থাকার পর আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নি’। ‘প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি এবং অমিত শাহ ভারতকে একটা গতিশীল রাষ্ট্ৰে পরিণত করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের ওই প্ৰয়াস অনেকটাই এগিয়ে গেছে। দেশের মানুষ একজন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব চান যিনি অগ্ৰণী দেশগুলির সঙ্গে ভারতকেও গতিশীল করে তোলার ক্ষমতা রাখেন। তাই আমি আশা করছি প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদির বলিষ্ঠ নেতৃত্বই ভারতকে অগ্ৰণী দেশগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে নেবে। মোদির নেতৃত্বে ভারত এখন একটা শক্তিশালী রাষ্ট্ৰের রূপ নিয়েছে’।

কলিতা আরও বলেন,‘ভারত পড়শি দেশগুলোকেও নেতৃত্ব দিতে পারবে। জি-২০ ভুক্ত এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলিও ভারতের অগ্ৰণী ভূমিকার প্ৰতি সমর্থন জানাচ্ছে। মোদির নেতৃত্বে ভারত অর্থনৈতিক ক্ষেত্ৰেও উন্নতির ছাপ রেখেছে’।

কিসের ভিত্তিতে তিনি কংগ্ৰেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন জানতে চাওয়া হলে কলিতা বলেন,‘প্ৰধান বিরোধী দল হিসেবে কংগ্ৰেস তিন তালাক বিল এবং ইউএপিএ(বেআইনি কার্যকলাপ প্ৰতিরোধ আইন)-এর ক্ষেত্ৰে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে সমর্থন করতে পারতো। এরপর রাজ্যসভায় যখন ৩৭০ ধারা রদের প্ৰস্তাব উঠলো তখনও কংগ্ৰেস এই বিষয়টি নিয়ে দলের মধ্যে অথবা অন্যান্য বিরোধীদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনাই করলো না। এমনকি কংগ্ৰেস সংসদীয় দল(সিপিপি)এই ইস্যুতে নীরবতাই পালন করে গেছে। আমি দলীয় নেতৃত্বের কাছে ইস্যুটি উত্থাপন করেছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। রাজ্যসভায় কংগ্ৰেসের চিফ হুইপও নিশ্চুপ ছিল। এই পরিস্থিতি আমার কাছে শ্বাস রুদ্ধকারী হয়ে দাঁড়ায়। সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা নিয়ে কংগ্ৰেসের এই অবস্থানে আমি রাজ্যসভায় ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আসলে ৩৭০ ধারা রদ করা না হলে জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও কল্যাণমূলক স্কিমই রূপায়ণ করা যাবে না। আমি আশা করছি বিজেপিই ভারতকে শক্ত সমর্থ হিসেবে দাঁড় করাতে সাহায্য করতে পারে। কংগ্ৰেসে এখন শুধু নেতাই চাই,ক্যাডার নয়। অথচ বিজেপিতে সবাই ক্যাডার’।

কংগ্ৰেসে থাকাকালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের(ক্যাব)তিনি বিরোধিতা করেছিলেন। এসম্পর্কে প্ৰশ্ন করা হলে কলিতা বলেন,‘রাজ্যের ভোটারাই ক্যাব মেনে নিয়েছেন এবং বিজেপিকে ক্ষমতা এনেছেন। বিজেপি গত লোকসভার নির্বাচনে ক্যাব ইস্যুকে নির্বাচনী ইস্তাহার করে ভোটে লড়েছিল।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি রঞ্জিৎ কুমার দাস,মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা,কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী রামেশ্বর তেলি এবং মন্ত্ৰী ভবেশ কলিতা সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: World Photography Day celebrated in Tinsukia Press club

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com