Begin typing your search above and press return to search.

গুয়াহাটিতে মেট্ৰো রেল প্ৰকল্প কি রাজনৈতিক চমক ছিল?

গুয়াহাটিতে মেট্ৰো রেল প্ৰকল্প কি রাজনৈতিক চমক ছিল?

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  21 Aug 2019 11:37 AM GMT

গুয়াহাটিঃ ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্ৰুয়ারি রাজ্যের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ গুয়াহাটির খানাপাড়ায় মেট্ৰো রেল প্ৰকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। প্ৰকল্পের শিলান্যাসে খরচ হয়েছিল ৭০ লক্ষ টাকা। শিলান্যাস স্থলটি এখন ভাল করে দেখা যায় না,আগাছা আর লতাগুল্মে ছেয়ে গেছে। রাজ্য সরকার ওই সময় তড়িঘড়ি করে মেট্ৰো রেল প্ৰকল্পের শিলান্যাস করেছিল। বিধানসভার নির্বাচনের প্ৰতি লক্ষ্য রেখে কাঙ্খিত রাজনৈতিক চমক সৃষ্টিই কি এর উদ্দেশ্য ছিল-এমন প্ৰশ্নও লোকের মুখে ফিরছে। পূর্বতন সরকার আরআইটিইএস(রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস)-এর মাধ্যমে প্ৰকল্পটির ডিপিআর(বিস্তারিত প্ৰজেক্ট রিপোর্ট)প্ৰস্তুত করেছিল কোটি টাকা খরচ করে। মেট্ৰো রেল নির্মাণে তড়িঘড়ি করে নেওয়া ওই সিদ্ধান্তে যে বিষয়টি অধরা থেকে গেছে তা হলো প্ৰকল্পের সম্ভাব্যতার গভীরে কোনও পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়নি।

এদিকে নির্বাচনের পর দিশপুরের ক্ষমতায় আসে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। তারা পুরো প্ৰকল্পটি পর্যালোচনা করে এব্যাপারে নতুন করে চিন্তাভাবনা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

শিলান্যাসের সময় এই প্ৰকল্প বাবদ আনুমানিক খরচের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার কোটি টাকা। পূর্বতন সরকারের মতে,মেট্ৰো রেল প্ৰকল্পে ফোর লাইনের(করিডর)এবং গুয়াহাটির ৬১ কিলোমিটার এলাকা এর আওতায় আনার প্ৰস্তাব রাখা হয়েছিল। প্ৰকল্পটির গভীরে না গিয়ে অথবা এ ব্যাপারে কোনও জরিপ না করেই ফোর লাইন করিডরের প্ৰস্তাব রেখেছিল তদানীন্তন সরকার। পূর্বতন সরকারের কাছে সময়টা ছিল একটা বড় ব্যাপার। কারণ বিধানসভার নির্বাচনের সময় এগিয়ে এসেছিল তখন। তাই ওই সরকার প্ৰকল্পটি নিয়ে যা কিছু করেছে তা শেষপর্যন্ত কোনও কাজে আসছে না। আর সেজন্যই এব্যাপারে বর্তমান সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে। বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার প্ৰকল্পের ব্যাপারে নতুন করে জরিপ চালাতে আরআইটিইএসকে কাজে লাগাবে। এই সরকার মেট্ৰো রেলের করিডর সম্পর্কে নতুন করে ভাবছে।

২০১৭ সালের মে মাসে রাজ্যের অর্থমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিধানসভায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে প্ৰস্তাবিত মেট্ৰো রেল প্ৰকল্প রূপায়ণে সরকার এখন এগোচ্ছে না। মন্ত্ৰী শর্মা আরও জানিয়েছিলেন,ট্ৰাফিক মুভমেন্টের জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকারের অনুমোদন নেওয়া রাজ্য সরকারের কাছে বাধ্যতামূলক। পূর্বতন সরকারের এধরনের অনেক সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে গেছে। কংগ্ৰেস সরকার দক্ষিণ কামরূপ ও উত্তর কামরূপ জেলা গঠন করতে চেয়েছিল এবং সেইসঙ্গে চেয়েছিল কয়েকটি মহকুমা গড়তেও। বিষয়গুলোর গভীরে তলিয়ে না দেখে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বর্তমান সরকার সেগুলো মুলতুবি রেখেছে।

অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ পাঁচ সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা আটক গুয়াহাটি রেলস্টেশন থেকে

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Man-Elephant Conflict in Majuli, Many residences destroyed

Next Story