ত্ৰিপুরায় এবার ২৫০০-র বেশি সর্বজনীন পুজো হয়েছে

আগরতলাঃ পুজোর পাঁচটা দিন গোটা ত্ৰিপুরা ডুবে গিয়েছিল আনন্দ সাগরে। মঙ্গলবার দশমীতে সেই আনন্দে নেমে আসে বিষাদের ছাপ। ঘরের মেয়ে উমাকে বিদায় জানাতে আগরতলার মণ্ডপে মণ্ডপে দেখা গেছে বিষাদের সুর। মহিলারা মাকে মিষ্টিমুখ করিয়ে তাঁর পা ছুয়ে নেন আশীর্বাদ। পড়ুয়া,কচিকাঁচাদের তাড়নাও কম ছিল না বিদায় বেলায় মায়ের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেওয়ার। বাঙালির কাছে উমা ঘরে মেয়ে। তাই মেয়েকে বিদায় দিতে গিয়ে চোখের কোন ভিজে যাবে এটাই তো স্বাভাবিক। এই চিরন্তন দৃশ্যও দেখা গেল ঘরে-বাইরের পুজোয়। সবার একটা আশা,আসছে বছর আবার হবে। উদ্যোক্তারা প্ৰতিমা নিয়ে বর্ণাঢ্য মিছিল বের করেন। ডাকের তালে,কাসরের শব্দে মিছিল এগিয়ে চলে। অবশেষে আগরতলার হাওড়া ও অন্যান্য নদী,হ্ৰদ ও পুকুরে প্ৰতিমা নিরঞ্জন পর্ব চলে অনেক রাত অবধি। ত্ৰিপুরায় এবার সর্বজনীন ২৫০০টির বেশি পুজো হয়েছে। বাড়ির পুজোর সংখ্যা প্ৰায় দুশোটি। আগরতলার প্ৰসিদ্ধ দুর্গাবাড়ি মন্দিরে এবার ৫২৫তম পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। এই পুজোর আকর্ষণ ভিন্ন মাত্ৰা রাখে বিভিন্ন কারণে। রাজ পরিবার এবং ত্ৰিপুরা সরকার এই পুজোর শতাব্দী পুরনো রীতিনীতি ও সামাজিক প্ৰথা আজও ধরে রেখেছেন। এখানকার দশমী ঘাটে দুর্গা বাড়ির প্ৰতিমা নিরঞ্জন করা হয় পূর্ণ রাষ্ট্ৰীয় মর্যাদায়। রাজ্য পুলিশের ব্যান্ড বিসর্জনের লগ্নে জাতীয় সংগীতও পরিবেশন করে।
ঐতিহাসিক এবং লেখক সলিল দেববর্মা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন,১৮৪ জন রাজা ১৩৫৫ বছর ত্ৰিপুরা শাসন করার পর ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর তদানীন্তন রাজ শাসিত ত্ৰিপুরা ভারত সরকারের নিয়ন্ত্ৰণে আসে মহারানি কাঞ্চন প্ৰভা দেবী এবং ভারতের গভর্নর জেনারেলের মধ্যে একটি শামিলকরণ চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ বিসর্জনে শেষ হলো দুর্গা পুজো,রেখে গেলো বিজয়ার সুবাস
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Durga Puja 2019: Vijaya Dashami celebrations from Tezpur