ঘোষিত বিদেশিদের জন্য গোয়ালপাড়ার মাটিয়ায় হচ্ছে স্থায়ী ডিটেনশন কেন্দ্ৰ

গুয়াহাটিঃ ঘোষিত বিদেশিদের জন্য সরকার গোয়ালপাড়া জেলার মাটিয়ায় এই প্ৰথম পূর্ণাঙ্গ স্থায়ী ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। এদিকে রাজ্যে ফরেনার্স ট্ৰাইবুনাল বিদেশি তকমা সেঁটে দেওয়া সব পলাতক বিদেশির বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করে গ্ৰেপ্তার করার জন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)প্ৰকাশিত হওয়ার পর স্থায়ী ডিটেনশন কেন্দ্ৰটি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চূড়ান্ত এনআরসি আগামি ৩১ জুলাইয়ে প্ৰকাশ পাবে।
স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক(এমএইচএ)স্থায়ী ডিটেনশন সেণ্টার প্ৰকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই তাদের অনুমোদন জানিয়েছে। আশা করা হচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ডিটেনশন সেণ্টারের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হবে। প্ৰায় ১৫ বিঘা জমি জুড়ে হচ্ছে এই ডিটেনশন কেন্দ্ৰ এবং এটি নির্মাণে ব্যয় হবে আনুমানিক ৪৬.৫১ কোটি টাকা। আসাম পুলিশ হাউসিং কর্পোরেশন এটি নির্মাণ করছে। এটি সম্পূর্ণ হলে এতে ৩ হাজার লোক থাকার ব্যবস্থা হবে। কর্পোরেশনের একটি সূত্ৰ জানিয়েছে একথা।
অসম সরকার ঘোষিত বিদেশিদের জন্য ডিটেনশন কেন্দ্ৰ স্থাপনের প্ৰয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিল ২০১৪ সালে। রাজ্য সরকার ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ঘোষিত বিদেশিদের জন্য ছটি জেলা কারাগারকে অস্থায়ী ডিটেনশন কেন্দ্ৰ হিসেবে নির্দিষ্ট করে দেয়। এই কারাগারগুলি হচ্ছে গোয়ালপাড়া,শিলচর,কোকরাঝাড়,যোরহাট,তেজপুর ও ডিব্ৰুগড়। এই ছটি অস্থায়ী ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি রয়েছেন ৯৩৫ জন। এদের মধ্যে ৮২৩ জন ঘোষিত বিদেশি এবং ১১৫ জন কনভিকটেড ফরেনার্স। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। পুরুষ,মহিলা ছাড়া শিশু রয়েছে কেন্দ্ৰগুলিতে। মাটিয়ার কেন্দ্ৰটি সম্পূর্ণ হলে এই সব কেন্দ্ৰে থাকা ঘোষিত সব বিদেশিকে মাটিয়া কেন্দ্ৰে স্থানান্তর করা হবে।