গোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে বিধানসভায় উদ্বেগ

গোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে বিধানসভায় উদ্বেগ

গুয়াহাটিঃ অল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন(এআইসিটিই)গোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্বীকৃতির প্ৰস্তাবটি খারিজ করে দেওয়ায় কলেজটির ওপর যে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ দেখা দিয়েছে শুক্ৰবার বিধানসভায় শাসক ও বিরোধী দলের সদস্যরা তাতে গভীর উদ্বেগ প্ৰকাশ করেন।

বিধানসভার চলতি গ্ৰীষ্মকালীন অধিবেশনের প্ৰথম দিন শুক্ৰবার এই ইস্যুটি উত্থাপন করেন গোলাঘাটের কংগ্ৰেস বিধায়ক অজন্তা নেওগ। তিনি সদনকে জানান,এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন গোলাঘাট জেলার মানুষের স্বপ্ন সত্যে পরিণত করেছিল। কারণ এ জেলায় উচ্চ শিক্ষার পর্যাপ্ত কোনও প্ৰতিষ্ঠান নেই। তিনি বলেন,কলেজ স্থাপনের জন্য প্ৰাথমিক কাজকর্ম শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে এবং ২০১৯-এর ৫ ফেব্ৰুয়ারি মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল প্ৰতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করেছিলেন। ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেম। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে কলেজটির স্বীকৃতির প্ৰস্তাব খারিজ করে দেওয়ার খবর আসায় গোলাঘাটের মানুষ প্ৰচণ্ড ক্ষেপে যান। সেই সঙ্গে হতাশাও ঘিরে ধরে তাদের’-বলেন নেওগ।

কংগ্ৰেস বিধায়ক অভিযোগ করেন,গোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার জন্য রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ সম্পূর্ণ দায়ী। নেওগ আরও বলেন,এআইসিটিই কলেজটিকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করার কারণ হলো কলেজটি তাদের ১৭টি শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। নেওগ এব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করে ইস্যুটি অবিলম্বে সমাধান করার দাবি জানিয়েছিলেন যাতে কলেজের বর্তমান ছাত্ৰদের শিক্ষাবর্ষ নিয়ে কোনওরকম অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে না হয়। এই ইস্যু নিয়ে জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য সদনে বলেন,এআইসিটিই শুধু কয়েকটি গ্ৰাউন্ডে কলেজের স্বীকৃতি খারিজ করে দেওয়ায় তিনি নিজেও বিস্মিত হয়েছেন। ভট্টাচার্য অবশ্য এটা স্বীকার করেন যে তাঁর বিভাগ গোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিভিন্ন টিচিং এবং ননটিচিং পদ পূরণ করতে পারেনি। লোকসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কোড অফ কনডাক্ট চাপানোর জন্যই এমনটা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ভট্টাচার্য আরও বলেন,এআইটিসিই যখন স্বীকৃতির প্ৰস্তাব খারিজ করেছে সেই সময় কলেজে একজন অস্থায়ী অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকরা ছিলেন। ‘আমরা একজন স্থায়ী অধ্যক্ষ ও ৩৫ জন অধ্যাপক নিয়োগের প্ৰক্ৰিয়া শুরু করেছি। সর্বমোট ৬০টি পদ সেংশন হয়েছে এবং পদগুলি পূরণের প্ৰক্ৰিয়াও শুরু করা হয়েছে। আমরা কলেজের ছাত্ৰদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছি এবং পদের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য এআইসিটিই-র কাছে আবেদন জানিয়েছে। এআইসিটিই-র স্বীকৃতির ইস্যুটি নিয়ে আমরা সুপ্ৰিমকোর্টে একটা বিশেষ লিভ পিটিশন ইতিমধ্যেই দাখিল করেছি’-বলেন ভট্টাচার্য।

Related Stories

No stories found.
logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com