ব্ৰেকিং নিউজ

অসম-অরুণাচল প্ৰদেশ সীমান্তে আইএলপি চেকিং নিয়ে জনগণের মধ্যে হইচই

Sentinel Digital Desk

গহপুরঃ অসম-অরুণাচল প্ৰদেশ সীমান্তে ইনার লাইন পারমিট(আইএলপি)চেকিং করার পরিপ্ৰেক্ষিতে ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। সারা নিশি ছাত্ৰ সংস্থা(এএনএসইউ)জেলা প্ৰশাসন ও পুলিশ সঙ্গে এই চেকিং অভি্যান চালায়।

প্ৰচার মাধ্যমের রিপোর্ট অনু্যায়ী,ইনার লাইন পারমিট না থাকায় ওই এলাকায় অনেক অসমিয়া মানুষকে আটক করা হয় এবং পরে তাঁদের যথাক্ৰমে সুলেঙ্গি চেকগেট এবং বান্দরদেওয়া চেক গেটে নামিয়ে দেওয়া হয়।

সদ্য প্ৰাপ্ত খবরে জানা গিয়েছে,গহপুর ও বান্দরদেওয়ার সীমান্ত এলাকায় আচমকা আইএলপি চেক করার ফলে অসমের মানুষের মধ্যে হইচই পড়ে যায়।

প্ৰচার মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সীমান্ত এলাকার একজন স্থানীয় ব্যক্তি অভিযোগ করেন,নিশি ছাত্ৰ সংস্থা আইএলপি চেকিঙের নামে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওখানে থাকা অনেক অসমিয়া মানুষকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে। খবরে প্ৰকাশ,অরুণাচল প্ৰদেশের ইটানগর ও নাহরলগুনের ১৩টি স্থানে আইএলপি চেক করা হয়ে থাকে।

অন্যদিকে নিশি ছাত্ৰ সংস্থার সভাপতি তাকম প্ৰচার মাধ্যমকে বলেছেন,আইএলপি না থাকা ব্যক্তিদের প্ৰথমে থানায় নেওয়া হচ্ছে এবং ওখানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাদের স্বস্থানে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

‘আমরা নিশ্চিত যে আইএলপি না থাকা ব্যক্তিদের স্বস্থানেই ফেরত পাঠানো হয়েছে’-বলেন তাকম। তারা আশ্বস্ত করে বলেন,এই অভিযান কোনও ব্যক্তিগত লাভালাভের জন্য নয়,রাজ্যের বৃহত্তর স্বার্থেই।

অসমে এনআরসি থেকে বাদ পড়া বহু মানুষ উপযুক্ত আইএলপি ছাড়া অরুণাচল প্ৰদেশে ঢুকেছেন বলে আনসু দাবি করেছে। আনসু সভাপতি তাকম রাজ্যের জনগণকে সঠিক চ্যানেলের মাধ্যমে শ্ৰমিক আনার অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে রাজ্যকে ভবিষ্যতে কোনও বাড়তি বোঝা বইতে না হয়।

আমসুর সাধারণ সম্পাদক টুকবম লিগু বলেন,রাজ্যের বিভিন্ন চেক পয়েণ্ট বিশেষ করে অসম-অরুণাচল সীমান্তে আইএলপি চেকিঙের ব্যবস্থা জোরদার ও সুনিশ্চিত করতে সংস্থা শীঘ্ৰই রাজ্য সরকারকে একটি স্মারকপত্ৰ দেবে।

‘আইএলপি সংগ্ৰহ না করে অনেক মানুষ চেকগেটে পুলিশকে পয়সা দিয়ে রাজ্যে ঢোকার নজির রয়েছে। পুলিশের এই মনোভাব দায়িত্বহীনতারই পরিচায়ক’-বলেন লিগু। ‘তবে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা জেলা প্ৰশাসন ও পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসবো’।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: By-elections to the four Assam Assembly constituencies held peacefully