ইন্টারন্যাশনাল

বিশ্বকাপ ২০১৮: গ্ৰুপ বিশ্লেষণ, গ্ৰুপ-C

Sentinel Digital Desk

ফ্ৰান্স

বিশ্বকাপ জেতে ১৯৯৮ সালে।

প্ৰতিযোগিতায় প্ৰধান প্ৰতিদ্বন্দ্বী দলগুলির প্ৰায় সমপর্যায়ের ক্ষমতা রাখে এই দল। তবে জার্মানি,স্পেন ও ব্ৰাজিলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তাদের পক্ষে কিছুটা কঠিন হবে। দলের পল পোগবা এবং কিলিয়ান মোবাপে বিশ্ব ফুটবল তারকাদের পাশাপাশি নিজেদের প্ৰতিষ্ঠা করেছেন। ফ্ৰান্সের বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা থাকলেও কোচ ডিডিয়ার দেশচাম্পস-এর দক্ষতা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ থেকে যায়।

পেরু

১৯৭০ সালে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিল।

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়ে ৩৬ বছর পর দল বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। পেরু বিশ্বকাপে খেলবে সমর্থকরা তেমনটা আশা করেননি। তবে ২০১৫-১৬ তে কোপা আমেরিকায় দল ভাল পারফরম্যান্স করায় অনেকেই তাদের নিয়ে ভাবছেন। দলের তারকা খেলোয়াড় পাওলো গুয়েরো। তার ওপর দলের আক্ৰমণ রচনার ভার।

ডেনমার্ক

১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল অবধি খেলেছে।

উয়েফা গ্ৰুপে পোল্যান্ডের কাছে হেরে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও ডেনমার্ক ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডকে ৫-১ হারিয়ে রাশিয়ায় খেলার ছাড়পত্ৰ পায়। দল ক্ৰিস্টিয়ান এরিকসেনের ওপরই নির্ভরশীল। ইউরোপের একজন সেরা আক্ৰমণাত্মক ফুটবলার হিসেবে এরিকসেনের নামডাক রয়েছে। পেরু,অস্ট্ৰেলিয়াকে হারিয়ে শেষ ১৬ তে ঠাঁই করে নেওয়া দলের লক্ষ্য।

অস্ট্ৰেলিয়া

২০০৬-এ বিশ্বকাপের রাউন্ড ১৬তে উঠেছিল।

লাগাতার ড্ৰ ও হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য অস্ট্ৰেলিয়া বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার সম্ভাবনা খোয়াতে চলেছিল। শেষ মুহূর্তে সিরিয়া,হন্ডুরাসের সঙ্গে ম্যাচে জয়ের সুবাদে রাশিয়ায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। দলের সেরা খেলোয়াড়ে কম তাই দলগত পারফরম্যান্সই ভরসা। ড্যানিয়েল আরজানিকে নিয়েই আশাবাদী দল।