ইন্টারন্যাশনাল

বিশ্বকাপ ২০১৮: গ্ৰুপ বিশ্লেষণ,গ্ৰুপ-H

Sentinel Digital Desk

পোল্যান্ড

১৯৭৪,১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থানাধিকারী পোল্যান্ড। গ্ৰুপের ডেনমার্ক,মন্টেনগ্ৰো ও রুমানিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার স্বীকৃতি আদায় করেছে। দলের হয়ে গোলের ফোয়ারা ছুটিয়েছিলেন রবার্ট লিউয়ানডোস্কি। রাশিয়ার মাঠে পোল্যান্ডকে দুর্বলতম শীর্ষ বাছাই হিসেবে ধরা যেতে পারে। এই দলকে খাটো করে দেখাটা ঠিক হবে না। দলে ভাল ফুটবলার রয়েছেন বেশকজন। তবে পেশাদার বা দর্শনীয় খেলোয়াড়ের অভাব রয়েছে। লিউয়ানডোস্কি দলকে আলোর মুখ দেখাতে পারেন। দল ভালই প্ৰদর্শন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কলম্বিয়া

২০১৪ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে কলম্বিয়া। যোস পেকারম্যানের দল অক্টোবরে দক্ষিণ আমেরিকায় চতুর্থ-ও চূড়ান্ত কোয়ালিফিকেশন স্লটে জয় তুলে কোয়ালিফাই করে। দলে জেমস রডরিগুয়ে,রাডামেল ফালকাও-এর মতো প্ৰতিভাবান খেলোয়াড় আছেন। দল ২০১০-এর মতো পারফরম্যান্স করতে পারলে অনেকটা পথ এগোতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সেনেগাল

২০০২ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত উঠেছিল।

সেনেগাল লিগ ম্যাচে অপরাজিত থাকলেও তা বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। দক্ষিণ আফ্ৰিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে সেনেগাল হারলেও রেফারি যোসেক ল্যাস্পটে তা খারিজ করে দেন। ফের ম্যাচ হলে সেনেগাল জয় তুলে রাশিয়ায় যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে।

আফ্ৰিকান কোয়ালিফায়ারদের মধ্যে সেনেগাল সম্ভবত সবচেয়ে শক্তিশালী। ইউরোপের সেরা ডিফেল্ডার ইদ্ৰিসা গুয়েই,মিডফিল্ডে চিখৌ কৌয়াতে এবং সাদিও মানে,কেইটা বেলডে-র মতো ম্যাচ উইনাররা টিমে রয়েছেন। টুর্নামেন্টে মানে প্ৰতিপক্ষের কাছে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন। দল ঠিকঠাক প্ৰদর্শন করলে শেষ ১৬ তে ঠাঁই করে নিতে পারে।

জাপান

২০০২,২০১০-এ ১৬ রাউন্ড পর্যন্ত সেরা খেলেছে জাপান। অস্ট্ৰেলিয়া ও সৌদি আরবের সঙ্গে গ্ৰুপ ম্যাচে জয় তুলে বিশ্বকাপে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করে নেয়। একই ধরনের পারফরম্যান্সই জাপানের কাছে বড় সমস্যা। দলে ডর্টমান্ড,মিডফিল্ডার শিনজি কাগাওয়ার মতো অভিজ্ঞ ও সেরা পারফরমার রয়েছেন। বরাবরের মতো জাপান গ্ৰুপ পর্যায় পেরোতে পারবে বলে আশা করছে।