ইন্টারন্যাশনাল

বড়োদিনের মরশুমে আর্থিক ফাঁড়া নেমে এল আমেরিকার সরকারি কর্মীদের

Sentinel Digital Desk

বড়োদিনের মরশুমে আর্থিক ফাঁড়া নেমে এল আমেরিকার সরকারি কর্মীদের ঘাড়ে। শনিবার থেকে বিনা বেতনে কাজ করার আওতায় পড়েছেন চার লক্ষ কর্মী। ছুটিতে পাঠানো হয়েছে আরও চার লক্ষ সরকারি কর্মীকে।ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসে। আমেরিকা–মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল তোলার জন্য পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিল পাস করানোর দাবি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু কংগ্রেসে ডেমোক্র‌্যাট এবং রিপাবলিকান সেনেটররা একমত হননি। ফলে পাস হয়নি এই বিল।

আগামী মাসের জন্য অর্থবরাদ্দ না হওয়ায় শনিবার রাত ১২টা থেকে শাটডাউন শুরু হয়ে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।সামনের দিনগুলির জন্য কংগ্রেস এখনও সরকারি বাজেট অনুমোদন করেনি বলে ইতিমধ্যেই ছুটিতে যেতে বলা হয়েছে নাসার বেশির ভাগ কর্মীকে। মাইনে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মার্কিন বিদেশ, বাণিজ্য, হোমল্যান্ড সিকিওরিটি (অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা), বিচারবিভাগ ও কৃষি দফতরগুলির বহু কর্মীকে।

এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের কার্যত মাথায় হাত।এর আগে সেপ্টেম্বরে শেষ বার যাবতীয় সরকারি খরচ অনুমোদন করেছিল মার্কিন কংগ্রেস। তার পর কংগ্রেস আর সরকারি বাজেট অনুমোদন না করায় অক্টোবর, নভেম্বর আর ডিসেম্বরের যাবতীয় প্রশাসনিক খরচের ধাক্কাটা ট্রাম্প প্রশাসন সামলেছে নিজেদের সঞ্চয় থেকে। কিন্তু জানুয়ারি থেকে সেটা আর সম্ভব নয় বলে শনিবারে পা দেওয়ার পরেই একের পর এক সরকারি দফতরে তালা ঝোলাতে তৎপর হয়ে উঠেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

উল্লেখ্য, বোঝাপড়ার মাধ্যমে মেক্সিকো সীমান্তে পাঁচিলের সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। কিন্তু মেক্সিকো-প্রাচীর গড়ার জন্য তাঁর ৫০০ কোটি ডলার বরাদ্দের দাবি থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক চুলও সরে আসতে রাজি না হওয়ায়, ওই বৈঠক নিষ্ফলাই থেকে যায়। প্রাচীর গড়তে অত ডলার লাগবে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টিরও কিছু সদস্য। তবে তড়িঘড়ি সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে রিপাবলিকান ও ডেমক্র্যাটদের একাংশ গোপনে তৎপর হয়েছেন বলে খবর।

সবার নজর এখন শনিবার দুপুরের দিকে। মার্কিন কংগ্রেসের যদি আর্থিক বরাদ্দ পাশ হয়ে যায়, তা হলে ভালো, নইলে উৎসবের মরশুমে অন্ধকার নেমে আসবে গোটা দেশেই।